সমস্যা শেষই হচ্ছে না ইস্টবেঙ্গলে। পুণে-হার্ডল টপকানোর আগে ফের ধাক্কা লাল-হলুদে। আব্রাঞ্চেস, লালরিন্ডিকার পরে পুণে এফসি ম্যাচে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন অধিনায়ক হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরা। করিম বে়ঞ্চারিফার দলের বিরুদ্ধে আই লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে খাদ্য বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত তিনি। বিকেলে মেহতাব-লোবোরা যখন বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ব্যস্ত, তখন পুণের হোটেল থেকে ফোনে খাবরা বললেন, ‘‘পেটের অবস্থা ভাল নয়। প্র্যাকটিসে যেতে পারিনি। পুণে ম্যাচ খেলতে পারব কি না, জানি না।’’
তিন দিন আগে পুণের মাঠেই ভারত এফসিকে হারিয়ে টিমের মধ্যে যখন ইতিবাচক মনোভাব আরও গভীর করার কাজ শুরু করেছিলেন এলকো, তখনই তিনটে বড় ধাক্কা। বিশেষ করে যখন বিপক্ষ ডাগআউটে করিমের মতো কোচ! যিনি ময়দানি ক্লাব ফুটবলকে হাতের তালুর মতোই চেনেন। যদিও লাল-হলুদ অধিনায়ক বললেন, ‘‘করিম আগের ম্যাচ স্টেডিয়ামে বসে দেখলেও পুণের তাতে বাড়তি লাভ বলে মনে হয় না।’’
বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামের ছোট মাঠে ইস্টবেঙ্গল লং বল ভুলে ওয়ান-টু-ওয়ান, ওয়াল পাসে খেলাটা গতিময় করায় জোর দিচ্ছে। যাতে বিপক্ষ থিতু না হতে পারে। শুক্রবার প্র্যাকটিসের ফাঁকে টিম ম্যানেজার অ্যালভিটো ডি’কুনহা ফোনে বললেন, ‘‘আই লিগ এখন আমাদের কাছে নকআউট টুর্নামেন্ট। বিপক্ষে ফার্গুসন কোচ থাকলেও জিততেই হবে।’’ ঘরের মাঠে করিমও চুপ নয়। এখনও পর্যন্ত ঘরের মাঠে অপরাজিত তাঁর পুণে। তার উপর সামনে কলকাতার টিম পড়লে করিম আরও তেতে ওঠেন! বললেন, ‘‘ঘরে অপরাজিত থাকার রেকর্ড আমাদের বাড়তি উৎসাহ দিচ্ছে। সালগাওকরের বিরুদ্ধে জয়টাও একটা বড় স্বস্তি।’’ ঘরের মাঠে সুয়োকা-হাওকিপদের পারফরম্যান্স করিমের দলকে উদ্বুদ্ধ করলেও পুণের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের অতীত রেকর্ড অবশ্যই চিন্তায় রাখবে মরক্কান কোচকে। শেষ সাত ম্যাচে পুণের বিরুদ্ধে অপরাজিত ইস্টবেঙ্গল।
মহমেডানের ড্র: আই লিগ টু-তে ড্র করল মহমে়ডান। ম্যাচের বেশিটা দশ জনে খেলা চানমারি এফসির সঙ্গে, ১-১। লালবিয়াখলুয়ার গোলে মিজোরামের দল এগোলেও বিরতির পরে ১-১ করেন আদেলাজা।
নার্সারি লিগ: গ্রুপ বি-তেও শুরু হয়ে গেল বয়স ভাঁড়ানো বিতর্ক। আইএফএর কাছে এ দিন গ্রুপ বি-র বেলঘরিয়া অ্যাথলেটিক ক্লাব প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছে। অভিযুক্ত ক্লাবের নাম জহর বসু ইনস্টিটিউট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy