Advertisement
E-Paper

পাপাদের দাপটে ধরাশায়ী চেন্নাই

চোট পেয়ে ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর স্টপার ড্যানিয়েল সাইরাস বাইরে চলে যাওয়ায়  রক্ষণ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন সবুজ-মেরুন কোচ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:০০
ছন্দে: তিন ম্যাচে চার গোল করে ফেললেন পাপা। ফাইল চিত্র

ছন্দে: তিন ম্যাচে চার গোল করে ফেললেন পাপা। ফাইল চিত্র

অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছে কিবু ভিকুনার মোহনবাগান। খেতাব জয়ের দিকে দৌড় শুক্রবার রাতেও অব্যহত।

কোয়েম্বত্তূরে গিয়ে হাড্ডাহাড্ডি ও তীব্র উত্তেজক ম্যাচ জেতার পর লিগ টেবলের শীর্ষে থেকে ছয় পয়েন্টের ব্যবধান ধরে রাখলেন জোসেবা বেইতিয়ারা। টানা আট ম্যাচ অপরাজিত থেকে গেল মোহনবাগান। তবে ৩-০ এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই পাল্টা আক্রমণে এসে ৩-২ করে দেওয়ার পর অবশ্য রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল কিবু বাহিনী। একটা সময় সাত জনে মিলেও রক্ষণ সামলাতে দেখা গেল পালতোলা নৌকার সওয়ারিদের। ম্যাচের পর কিবু বলে দিলেন, ‘‘দ্বিতীয়ার্ধে দু’গোল খাওয়ার পর একটা চাপ তৈরি হয়েছিল ঠিক। তবে আমরা আরও বেশি গোলে জিততে পারতাম। পাপা হ্যাটট্রিকও করতে পারত।’’ ফ্রান মোরান্তেদের পরের ম্যাচ কল্যাণীতে পঞ্জাবের সঙ্গেই। ৯ ফেব্রুয়ারি ওই ম্যাচ জিততে পারলে খেতাবের দিকে অনেকখানি এগিয়ে যেতে পারবে ১৩০ বছরের ক্লাব।

চোট পেয়ে ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর স্টপার ড্যানিয়েল সাইরাস বাইরে চলে যাওয়ায় রক্ষণ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন সবুজ-মেরুন কোচ। কাতসুমি ইউসা এবং অ্যাডোলফো মিরান্দা (ফিটো)দের আটকাতে নিজের দলের দুই স্পেনীয় ফুটবলার ফ্রান মোরান্তে ও ফ্রান গঞ্জালেসকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ। কিন্তু তাতেও আটকানো যাচ্ছিল না চেন্নাইয়ের আক্রমণ। মিরান্দার শট পোস্টে লেগে ফিরল। মোহনবাগানের প্রাক্তনী কাতসুমি ইউসা একের বিরুদ্ধে এক অবস্থায় পেয়েও শঙ্কর রায়কে হারাতে পারেননি। তবে বিরতির আগে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন পাপা, সুহের, তুর্সুনভও। বিরতির আগে দুটি দুর্দান্ত সেট পিস থেকে গোল করে মোহনবাগান। তিন মিনিটের ব্যবধানে। দুটি কর্নারই জোসেবা বেইতিয়ার। প্রথমটিতে হেড করে গোল করেন পাপা। বিরতির পর গোলের সংখ্যা ৩-০ করে দেন পাপা। পরপর তিন ম্যাচে চার গোল করে ফেললেন লা লিগায় খেলে আসা এই ফুটবলার। ম্যাচের সেরা হয়ে তিনি তা উৎসর্গ করলেন সেনেগালের এক বন্ধুকে। বললেন, ‘‘সকালে আমার এক বন্ধু ফোন করে ম্যাচ জেতার জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছিল। আমি তাঁকে বলেছিলাম ম্যাচের সেরা হলে তোমাকে তা উৎসর্গ করব।’’

আরও পড়ুন: অ্যারোজের গতিই ভয় লাল-হলুদের

চেন্নাই ম্যাচে ফিরেছিল নাটকীয় ভাবে। তিন মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচ ২-৩ করে দেয় তারা। ৬৫ মিনিটে বদলি হিসাবে নেমে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে প্রথম গোল বিজয় নাগাপ্পনের। মোহনবাগান গোলকিপার শঙ্কর নড়ার সুযোগ পাননি। বিজযের মতোই প্রায় পঁচিশ গজ দূর থেকে জোরাল শটে গোল করেন জিষ্ণু বালাকৃষন।

মোহনবাগান: শঙ্কর রায়, আশুতোষ মেহতা, ফ্রান মোরান্তে, ফ্রান গঞ্জালেস, ধনচন্দ্র সিংহ, নওরেম (শিল্টন ডি সিলভা), বেইতিয়া, শেখ সাহিল, তুর্সুনভ (জেসুরাজ), পাপা, সুহের (ব্রিটো)।

Football Mohun Bagan Chennai City FC I League 2019-20
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy