Advertisement
E-Paper

চ্যাম্পিয়নদের লজ্জায় ফেলল মোহনবাগান

চ্যাম্পিয়ন অথচ শেষ ম্যাচে পাঁচ গোল খেলেন? এটা তো কালি লেগে গেল আপনার টিমের ট্রফি জয়ে? প্রশ্ন শুনে মুখটা আরও লাল হল অ্যাশলের। ‘‘চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই লক্ষ্য ছিল। জুনিয়রদের নামানোটা স্ট্র্যাটেজি ছিল।’’ বোঝাই যায়, বিশ্রী হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় তিনি।

সংগ্রাম সিংহ রায়

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:০৪

মোহনবাগান ৫ : বেঙ্গালুরু ০

(গ্লেন ২, লেনি, লুসিয়ানো, আজহারুদ্দিন)

পেশাদারিত্ব দেখাতে গিয়ে ডুবলেন অ্যাশলে ওয়েস্টউড। পড়ে গেলেন লজ্জায়ও।

চ্যাম্পিয়ন অথচ শেষ ম্যাচে পাঁচ গোল খেলেন? এটা তো কালি লেগে গেল আপনার টিমের ট্রফি জয়ে? প্রশ্ন শুনে মুখটা আরও লাল হল অ্যাশলের। ‘‘চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই লক্ষ্য ছিল। জুনিয়রদের নামানোটা স্ট্র্যাটেজি ছিল।’’ বোঝাই যায়, বিশ্রী হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় তিনি।

বেঙ্গালুরু ট্রফি নিয়ে গেল ঠিকই, কিন্তু সুযোগ পেয়ে বাগান রানার্স হওয়ার পাশাপাশি সুনীল ছেত্রীর টিমকে দুরমুস করল কাঞ্চনজঙ্ঘায়। অ্যাশলের টিম যখন ট্রফি নিচ্ছে তখন তৃপ্ত মুখে সঞ্জয় সেন বলছিলেন, ‘‘জিততে চেয়েছিলাম। আমার ছেলেরা পাঁচ গোল দিয়ে দেবে ভাবিনি।’’

শনিবার ওয়েস্টউড বেঙ্গালুরুর প্রথম একাদশের তিন জনকে বাদ দিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদেরই মাঠে নামিয়েছিলেন। ওসানো ছাড়া কোনও বিদেশিকেও খেলাননি। হয়তো পরের সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া ফেডারেশন কাপের কথা মাথায় রেখেই সুনীল ছেত্রীদের বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলেন। বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ভেবেছিলেন রিজার্ভের ছেলেরাই ম্যাচ জিতিয়ে দেবেন। কারণ যাই হোক তাঁর সিদ্ধান্ত যে এ ভাবে বুমেরাং হয়ে যাবে, সেটা হয়তো নিজেও ভাবেননি সুনীলদের ব্রিটিশ কোচ। ম্যাচের শুরু থেকে কিগান পেরেরা, থই সিংহ, অলউইন জর্জদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলাই করলেন কাতসুমি-সনিরা। বিরতির আগেই চার গোল করে ফেলে বাগান। দ্বিতীয়ার্ধে বরং কিগান পেরেরা জোড়া হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পর শেষ গোলটা দিয়েছেন গ্লেন। যদিও দু’ অর্ধে গ্লেন-কাতসুমিরা অনেক সুযোগই পেয়েছিলেন। সেগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগলে সাত-আট গোল হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। একটা সময় খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, পাড়ার কোনও টিমের সঙ্গে খেলছেন সনিরা।

বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে আই লিগ না পাওয়ার যন্ত্রণা কিছুটা ভুলতে চেয়েছিল সঞ্জয়ের টিম। সেটা সফল হওয়ায় ফেড কাপ এবং এএফসি কাপে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাবে তাঁর দল মনে করছেন বাগান কোচ। বলছিলেন, ‘‘জয়ে ফেরাটা জরুরি ছিল।’’ তবে আই লিগে রানার্স হওয়া, সনির লিগের সেরা ফুটবলার হওয়া, এ বার চ্যাম্পিয়ন টিমকে হোম-অ্যাওয়ে দু’ ম্যাচে হারানো— এ সবই তো এখন সান্ত্বনা পুরস্কার বাগানের কাছে। তা সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়ন টিমকে শেষ ম্যাচে পাঁচ গোল, আই লিগে যে কখনও হয়নি!

মর্গ্যানের পরীক্ষা শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা: ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের নতুন ইনিংস শুরু হচ্ছে আজ রবিবার শিলংয়ে। তবে মোহনবাগান রানার্স হয়ে যাওয়ায় শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের সামনে আলাদা করে করে লিগে আর কোনও লক্ষ্যই থাকল না। তারা ম্যাচ হারুক বা জিতুক, তৃতীয় স্থানেই থাকবে। শুধুমাত্র পয়েন্টের পার্থক্য হবে। বরং র‌্যান্টি-ডংরা আজ রবিবার যাদের মুখোমুখি হবে, সেই শিলং লাজংয়ের সামনে বড় লক্ষ্য রয়েছে। অবনমন বাঁচানোর। এ দিনের ম্যাচ জিততে পারলে সরাসরি অবনমন বেঁচে যাবে পাহাড়ি দলটির।

অন্য খেলায়

মেনল্যান্ড সম্বরণ অ্যাকাডেমি আয়োজিত অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি কাপের ফাইনালে উঠল অশোক মলহোত্র সিসি। তারা ১২ রানে হারাল মেনল্যান্ড সম্বরণ অ্যাকাডেমিকে।

রবিবারে

আই লিগ— ইস্টবেঙ্গল : শিলং লাজং (শিলং, ৭-০৫)।

i league mohun bagan bengaluru fc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy