আইএসএল না আই লিগ এই বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন ভাইচুং ভুটিয়া। তাঁর মতে, আই লিগ দর্শক টানতে ব্যর্থ। আর সেটাই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সাফল্যের বড় কারণ। আট বছর আগেই জাতীয় লিগ নাম বদলে আই লিগ হয়েছিল। তার পর থেকেই ক্রমশ জৌলুশ হারাতে শুরু করে দেশের একনম্বর লিগ। বর্তমানে অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকেই যাচ্ছে। প্রতিবছরই আই লিগ থেকে নাম তুলে নিচ্ছে কোনও না কোনও দল। সে প্রাচীন জেসিটি হোক বা মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। সম্প্রতি সেই তালিকায় যোগ হয়েছে পুণে এফসি, ভারত এফসি ও রয়্যাল ওয়াহিংডোর মতো নতুন দলও। এক বছর খেলেই পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছে ভারত এফসি। ক্রমশ কমছে আই লিগের দল। বদলাতে হচ্ছে খেলার ফর্ম্যাট। সব মিলে আই লিগকে বাঁচাতে হলে যে আইএসএল-এর সঙ্গেই যুক্ত হতে হবে সেটা বুঝে গিয়েছে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
আরও খবর পড়ুন: দুই প্রাক্তনই শেষ করে দিল কলকাতার ফাইনালের আশা
ভাইচুং ভুটিয়াও মেনে নিচ্ছেন দুই লিগ মিলে যাওয়ার কথা। তবে এখনই নয়। তিনি বলেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে কি আই লিগ ব্যর্থ। যে কারণেই আইএসএল এতটা সাফল্য পেয়েছে। ফুটবল সমর্থকরা আই লিগের ম্যাচ দেখতে আসেন না। সংবাদমাধ্যমও আই লিগের খবর করতে চায় না।’’ দুটো লিগ যে পাশাপাশি সফল হতে পারে না সেটাও মেনে নিচ্ছেন ভাইচুং। বলেন, ‘‘যদি আই লিগ সফল হত তাহলে আইএসএল উঠে আসতে পারত না। আই লিগ ব্যর্থ তাই আইএসএল শুরু হয়েছে। এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই সাফল্য।’’ এর মধ্যেই আইএসএল-এ ভারতীয় ফুটবলার খেলানোর সংখ্যা বাড়ানোর দাবি উঠেছে। ভাইচুং বলেন, ‘‘আমার মনে হয় আগামী বছর থেকেই পাঁচজনের বদলে আইএসএল-এ ছ’জন ভারতীয়কে খেলতে দেখা যাবে। আরও কয়েক বছরে আই লিগের নিয়ম মেনেই বিদেশির সংখ্যাও কমে চারজন হবে। তার পরই আমরা দুই লিগ মিলিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে পারি।’’
২০১৬-১৭ মরশুমের আই লিগ শুরু হবে ৯ জানুয়ারি থেকে। যখন আই লিগে দল বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ফেডারেশন ঠিক তখনই মাত্র ন’টি দল নিয়ে হবে এবারের আই লিগ। গত বছর যেটা হয়েছিল ১২ দলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy