আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছিলেন ২০০৮ সালেই। এখন বয়স ৪৫। নবম আইপিএল-এর সব থেকে বেশি বয়সের ক্রিকেটার তিনিই। ইডেন গার্ডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত হগের। ১৯ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। জানেন কি ২০০৮ এর পর থেকে দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই বোলার। দলে জায়গা না পেয়ে অবসরই নিয়ে ফেলেছিলেন।
২০০৮ সালে সাতটি টেস্ট ও ১২৩টি একদিনের ম্যাচ খেলে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো হগ আবার ক্রিকেটে ফেরেন ২০১২তে বিগ ব্যাশ লিগে। তখন তাঁর বয়স ৪০। এই বছর ভেবেছিলেন টি২০ বিশ্বকাপ খেলবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন সফল হননি। তবে আইপিএল-এ জায়গা করে নিয়েছিলেন কলকাতা দলে। রবিবারের ইডেনের রাত হয়তো অস্ট্রেলিয়া টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে বাধ্য করবে।
ম্যাচ শেষে ব্র্যাড হগ অবশ্য স্মৃতি রোমন্থনেই মজলেন। বলেন, ‘‘আমি জীবনের অন্য একটা প্রান্তে চলে গিয়েছিলাম প্রায়। আবার চেনা ছন্দে ফিরে এসে দারুণ লাগছে। ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যে আমার ক্রিকেটকে অনেক কিছু দেওয়ার ছিল।’’ এখনও দারুণ ফিট তিনি। প্রথম ম্যাচে তাঁর শিকার পবন নেগি, সঞ্জু স্যামসন ও অমিত মিশ্রা। যখন প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ব্র্যাড হগের তখন জন্মই হয়নি স্যামসনের, নেগি হয়তো তখন সবে হামাগুড়ি দিচ্ছেন। সালটা ১৯৯৪।
এই বয়সে, এতদিন খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরও এভাবেও ফিরে আসা যায়? বলেন, ‘‘আমি ভাগ্যবান কারণ এখনও শারীরিক ভাবে সুস্থ আছি। এটা ভেবে ভাল লাগছে সকালে উঠে দেখছি আমি আন ফিট নই। আমি চাই যতদিন পারব চালিয়ে যেতে।’’ নিজের অবসর নিয়ে বলতে গিয়ে হগ বলেন, ‘‘আমি ২০০৮ এ অবসর নিয়েছিলাম। তিন বছর খেলার বাইরে ছিলাম।বহুদিন ক্রিকেট ব্যাট, বল হাতে নেইনি। কিন্তু যখন ফিরে এলাম, দেখলাম এতদিন কী মিস করেছি।’’
আরও খবর
রবিন, রাসেলের প্রশংসায় গম্ভীর, হতাশ নন জাহির
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy