ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের পরে ক্রিকেটের উন্নতির জন্য দু’টো ফর্মুলা তুলে ধরেছেন ইয়ান চ্যাপেল। এক, মাঠে ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশি কথাবার্তা চলতে দেওয়া চলবে না। দুই, ডিআরএস বেশি ব্যবহার করা উচিত হবে না।
নিজের কলামে চ্যাপেল লিখেছেন, ‘‘মাঠে ক্রিকেটারদের মধ্যে যে ভাবে কিচিরমিচির চলে, তা খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে হবে। জানি, ব্যাটসম্যানদের পাগল করে দেওয়ার জন্য ওই সব বলা হয়। কিন্তু পাশাপাশি টিভি দর্শকদের জন্যও ব্যাপারটা অত্যন্ত যন্ত্রণার। ব্যাপারটা কী রকম জানেন, চকবোর্ডে নখ দিয়ে আওয়াজ করার মতো।’’
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, এই সব থামাতেই হবে। সদ্য সমাপ্ত সিরিজে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মাঠের চেয়েও বেশি আলোচনা হয়েছে মাঠের বাইরের ঘটনা নিয়ে। যেখানে উঠে এসেছে দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে স্লেজিং যুদ্ধের নানা ছবি। ঝামেলা হয়েছে ডিআরএস নিয়েও। চ্যাপেলের বক্তব্য, যদি বোঝা যায়, একেবারে জঘন্য আউট দিয়েছেন আম্পায়ার, তা হলেই যেন ডিআরএস নেওয়া হয়। তাঁর আরও বক্তব্য, ফিল্ডার একটা ক্যাচ ঠিকঠাক ধরেছেন কি না, তা দেখার জন্য যেন আম্পায়াররা ডিআরএসের সাহায্য না নেন।
চ্যাপেল লিখেছেন, ‘‘ধর্মশালায় জস হেজ্লউডের ক্যাচ ধরেছিল মুরলী বিজয়। যে কোনও নিরপেক্ষ স্লিপ ফিল্ডার বলবে, ওটা ক্যাচ ছিল। কারণ, কোনও ফিল্ডার মাটির দিকে আঙুল করে ক্যাচ ধরে না। কিন্তু রিপ্লেতে অন্য ভাবে ব্যাপারটা উঠে আসে।’’ তবে চ্যাপেল মনে করছেন, এই ঝামেলাগুলো দূরে সরিয়ে রাখলে একটা অসাধারণ সিরিজ দেখা গিয়েছে। ‘‘এই সিরিজটা বুঝিয়ে দিয়েছে, কেন ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটটার ওপর নজর দেওয়া উচিত।’’ চ্যাপেল অবশ্য সিরিজের দুই অধিনায়ক— বিরাট কোহালি এবং স্টিভ স্মিথের নেতৃত্ব নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু এইটুকু বলেছেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেটের সাফল্যের জন্য ভাল অধিনায়কদের খুব প্রয়োজন আছে।’’ আর টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কী করা দরকার? চ্যাপেলের বক্তব্য, ‘‘এমন পিচ করা হোক, যেখানে বোলাররা সাহায্য পাবে। তা হলে দেখবেন টেস্ট ক্রিকেটেও উত্তেজনা ফিরছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy