সেই বিতর্কিত মুহূর্ত। ছবি এএফপি।
ডিআরএসগেট কাণ্ডে অবশেষে ‘রেফারি’র ভুমিকায় নামল আইসিসি। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হওয়ার পর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা জানিয়ে দিল, ভারত বা অস্ট্রেলিয়া কোনও পক্ষকেই এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। দুই দলকেই রাঁচী টেস্টের জন্য এনার্জি সঞ্চয় করে রাখতে পরামর্শ দিয়েছে আইসিসি।
ঘটনার সূত্রপাত বেঙ্গালুরু টেস্টের চতুর্থ দিনে। উমেশ যাদবের বল স্টিভ স্মিথের পায়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই আউট দেন আম্পায়ার নাইজেল লং। রিভিউ নেবেন কিনা জানতে নন স্ট্রাইকার হ্যান্ডসকম্বের দিকে এগিয়ে যান স্মিথ। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। গোল বাঁধে ঠেক এই সময়ে স্মিথ ড্রেসিংরুমের দিকে তাকানোয়। কোহালিরা অভিযোগ করেন, রিভিউ নেবেন কি না জানতে ড্রেসিংরুমের সাহায্য নিচ্ছিলেন স্মিথ। তখনকার মতো দু’পক্ষকে শান্ত করলেও বিতর্ক গড়ায় বোর্ড পর্যন্ত। ভারতীয় বোর্ড নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বিষয়টিকে কটাক্ষ করে লেখে ‘ডিআরএস: ড্রেসিংরুম রিভিউ সিস্টেম’। তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে তীব্র লেখালেখি হয়।
বিরাটদের এনার্জি বাঁচিয়ে রাখার পরামর্শ আইসিসির।
এর পরেই স্মিথদের পাশে দাঁড়ায় অজি বোর্ড। অস্ট্রেলিয়ার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) জেমস সাদারল্যান্ড কোহালির আচরণকে ‘অসংযত’ বলে মন্তব্য করেন। অস্ট্রেলিয়া খেলার মধ্যে ক্রিকেটের স্পিরিট-বিরোধী কিছু করে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাল্টা বিসিসিআইয়ের ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও পোস্ট করে স্মিথের এই কাণ্ডকে অনূর্ধ্ব ১০ স্তরের বলে ব্যাঙ্গ করেন পূজারা-অশ্বিন। বিষয়টি নিয়ে আইসিসি-কে জানানো হয়েছে বলেও জানায় ভারতীয় বোর্ড।
ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড অবশ্য জানান, স্মিথ বা কোহালি কাউকে বেঙ্গালুরুর ঘটনা নিয়ে ডাকা হচ্ছে না। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ম্যাচ রেফারির কথার প্রতিধ্বনিই এ দিন শোনা গেল আইসিসির গলায়। আইসিসি চিফ একজিকিউটিভ ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, “আমরা দুই দলকেই বলছি শান্ত থাকতে। নিজেদের যাবতীয় এনার্জি পরের টেস্টের জন্য সঞ্চয় করে রাখতে। দুই দলের অধিনায়ককে ডেকে ম্যাচ রেফারি তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন। এই ধরনের ম্যাচে একটু আধটু এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে।”
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বেধে গেল দুই বোর্ডেও
ছবি এএফপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy