ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জনি বেয়ারস্টোকে আউট করে উচ্ছাস ইমরান তাহিরের। ছবি এএফপি
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে তিনি বোলিং ওপেন করে চমকে দিয়েছিলেন। শুধু নতুন বল হাতে প্রথম ওভার করাই নয়, দ্বিতীয় বলে উইকেটও তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সেই ইমরান তাহির বলছেন, যখনই অধিনায়ক তাঁর হাতে বল তুলে দেবেন, তিনি দায়িত্ব পালন করতে তৈরি থাকবেন।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে লেগস্পিনার তাহিরকে দিয়ে বোলিং ওপেন করিয়ে চমকে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। তাহির দ্বিতীয় বলেই আউট করে দিয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টোকে। এ দিন তাহির বলেন, ‘‘আমি কখনও না বলার লোক নই। যে কোনও চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি আমি।’’
আগামী ৫ জুন, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সামলাতে হবে তাহিরের চ্যালেঞ্জ। সেই ম্যাচে তাহিরকে কী ভাবে ব্যবহার করেন ডুপ্লেসি, সেটা দেখার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বোলিং ওপেন করাটা যে হঠাৎ কোনও সিদ্ধান্ত নয়, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাহির। তিনি বলেছেন, ‘‘গত এক বছর ধরে আমরা এর জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। আমরা জানতাম, এ রকম একটা চাল কেউ আশা করবে না।’’ তবে চ্যালেঞ্জটা যে কঠিন ছিল, তা মেনে নিয়েছেন এই লেগস্পিনার। তিনি বলেন, ‘‘ব্যাপারটা খুব সোজা ছিল না। দু’জন বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বল করতে হচ্ছিল। তবে আমি খুশি, দলের জন্য শুরুতেই একটা উইকেট এনে দিতে পেরে।’’
ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আগে অবশ্য আজ, রবিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচেও কি আপনাকে বোলিং ওপেন করতে দেখা যাবে? তাহিরের জবাব, ‘‘ক্যাপ্টেন আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি না বলব না। আমি জানি না, পরের ম্যাচে শুরুতে বল পাব কি না। তবে আমি তৈরি।’’ প্রথম ম্যাচে হারলেও তাহির মনে করেন, ঘুরে দাঁড়ানো অবশ্যই সম্ভব। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা এমন একটা ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছি, যারা গত এক বছর ধরে ক্রিকেট দুনিয়ায় আধিপত্য চালাচ্ছে। আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিতে তৈরি। চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি।’’
বিশ্বকাপের পরেই ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চলেছেন তাহির। তিনি বলছেন, ‘‘আমি সবার কাছেই কৃতজ্ঞ। আশা করছি, দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে পেরেছি।’’
তাহির এই মুহূর্তে ৯৯টা ম্যাচ খেলেছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁর একশো ওয়ান ডে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কথা। যা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘একটা আলাদা অনুভূতি হচ্ছে। মনে পড়ে যাচ্ছে, ২০১১ বিশ্বকাপে আমার খেলা প্রথম ম্যাচের কথা।’’ তিনি আরও বলছেন, ‘‘আমি সব সময় স্বপ্ন দেখতাম, দেশের হয়ে একশো ম্যাচ খেলছি। সেই স্বপ্ন এখন সত্যি হওয়ার পথে। কোনও সময়ই ভাবিনি, দেশের হয়ে এতগুলো ম্যাচ খেলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy