Advertisement
E-Paper

যে যা বলিস বল, মনোভাব স্মিথের

শনিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে হ্যাম্পশায়ারে খেলতে নেমে দর্শকদের বিদ্রুপের মুখে পড়েন স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। যে বিদ্রুপকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে দুরন্ত সেঞ্চুরিতে জবাব দেন স্মিথ, দলকেও জেতান।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৯ ০৪:২৮
প্রতিজ্ঞ: এক বছরের নির্বাসন মানুষ হিসেবে স্মিথকে আমূল পাল্টে দিয়েছে। ফাইল চিত্র

প্রতিজ্ঞ: এক বছরের নির্বাসন মানুষ হিসেবে স্মিথকে আমূল পাল্টে দিয়েছে। ফাইল চিত্র

জল হাঁসকে ভেজাতে পারে না, তেমনই দর্শকদের আচরণও স্টিভ স্মিথকে কোনও সমস্যায় ফেলতে পারে না। এই তুলনা আর কারও নয়, স্বয়ং অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্মিথের।

শনিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে হ্যাম্পশায়ারে খেলতে নেমে দর্শকদের বিদ্রুপের মুখে পড়েন স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। যে বিদ্রুপকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে দুরন্ত সেঞ্চুরিতে জবাব দেন স্মিথ, দলকেও জেতান। ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের স্মিথ বলেন, ‘‘কে কী রকম আচরণ করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। আমার কাছে ব্যাপারটা হাঁসের গায়ে জল লাগার মতো ব্যাপার। কে কী বলছে, এ সব আমি পাত্তা দিই না। বিদ্রুপ গায়ে মাখি না।’’

বল বিকৃতি কাণ্ডে এক বছর নির্বাসনে থাকার পরে দলে ফিরেছেন স্মিথ এবং ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে নেমেই গত কাল শিকার হতে হয়েছে দর্শক বিদ্রুপের। স্মিথ বলছেন, ‘‘দলের সবার মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে, আমরা যেন কোনও দিন ড্রেসিংরুম থেকে দূরে ছিলাম না। আমি জানি, ড্রেসিংরুমের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থরা সবাই আমার পাশে আছে। আমাকে সমর্থন করে চলেছে। এটাই আমার কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’’ স্মিথকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার গায়ে প্রতারক তমকাটা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কী মনে হয়েছিল তখন? স্মিথের জবাব, ‘‘আমি পুরো ব্যাপারটা মন থেকে মুছে ফেলেছি।’’ তিনি মাঠে নেমে কী করতে চান, সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা আছে স্মিথের। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলে দিয়েছেন, ‘‘আমার কাজ হল, সতীর্থদের গর্বিত করা। অস্ট্রেলিয়ার মানুষকে গর্বিত করা।’’

নির্বাসনে থাকা একটি বছর তাঁকে যে মানুষ হিসেবেও পাল্টে দিয়েছে, তা বলেছেন স্মিথ। ২৯ বছর বয়সি ক্রিকেটারের মন্তব্য, ‘‘একটা বছর মাঠের বাইরে থাকার ফলে আমি এমন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, যা আগে পাইনি। আত্মবিশ্লেষণ করতে পেরেছি, সমাজসেবা করতে পেরেছি। যা মানুষ হিসেবে আমাকে উন্নত করেছে, পরিণত করেছে।’’ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্দেশে ১০০ ঘণ্টা সমাজসেবামূলক কাজ করতে হয়েছে স্মিথকে। এও জানা গিয়েছে, নির্বাসন থেকে ফিরে তিনি প্রথম যে চুক্তিটা পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে করেছিলেন, তার প্রাপ্ত অর্থও দান করে দেন।

Cricket Australia Steve Smith David Warner ICC World Cup 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy