পরের ম্যাচগুলোর জন্য তৈরি হচ্ছেন বেইতিয়া।
এতদিন যিনি স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন, মোক্ষম সময়ে তাঁর বুট জোড়াই বিশ্বাসঘাতকতা করে বসল। পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করায় হতাশ মোহনবাগানের প্রাণভোমরা জোসেবা বেইতিয়া।
শেখ কামাল ক্লাব কাপে রবিবার ইয়ং এলিফ্যান্টসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নেমেছিল সবুজ-মেরুন শিবির। এগিয়ে থেকেও চট্টগ্রামে ম্যাচ জিততে পারেনি কিবু ভিকুনার দল। খেলার ৮৮ মিনিটে বেইতিয়ার পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেন ইয়ং এলিফ্যান্টসের গোলকিপার। তার ঠিক পরের মুহূর্তেই বাগানের জালে বল জড়ায় ভিয়েতনামের ক্লাবটি। সোমবার বাগানের মাঝমাঠের ভরসা বেইতিয়া চট্টগ্রাম থেকে বললেন, ‘‘মানসিক দিক থেকে আমি বিধ্বস্ত এ কথা বলব না। তবে পেনাল্টি নষ্ট করায় আর দল হেরে যাওয়ায় আমি হতাশ। পেনাল্টি থেকে গোলটা করতে পারলে ম্যাচটা হয়ত আমরাই জিততাম।’’
প্রথম ম্যাচ হেরে এখন চাপে পড়ে গিয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব। চলতি মাসের ২৩ তারিখ মলদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচ সবুজ-মেরুনের। সেই ম্যাচে যদি ফের পেনাল্টি পায় বাগান-শিবির, তা হলে কি বেইতিয়াকে শট মারতে দেখা যাবে? বেইতিয়া বলছেন, “কোচ যদি আমাকে শট মারতে পাঠান, তা হলে আমি পেনাল্টি নেব। কাল পেনাল্টি নষ্ট করায় আমিই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কোচই আমাকে উৎসাহ দেন।’’
আরও পড়ুন: ১৬২ রানে শেষ প্রথম ইনিংস, রাঁচীতে ফলো অনের পরে দ্রুত চার উইকেট হারাল প্রোটিয়ারা
ডেড বল সিচুয়েশনকে কাজে লাগাতে দক্ষ বেইতিয়া। ফ্রি কিক থেকে আগেও দর্শনীয় গোল করেছেন তিনি। ইয়ং এলিফ্যান্টসের বিরুদ্ধে জুলেনের প্রথম গোলটা এসেছে বেইতিয়ার কর্নার থেকেই। সেই তিনিই নির্বিষ পেনাল্টি মেরে বসলেন। সবুজ-মেরুনের ১০ নম্বর জার্সিধারী বলছেন, ‘‘ফুটবল এ রকমই। সব সময়ে সবকিছু ঠিকঠাক হয় না। তাই বলে হতাশ হয়ে গেলে তো চলবে না। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ আমাদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে এমন তো নয়। প্রথম ম্যাচ হারায় আমরা চাপে পড়ে গিয়েছি এটা ঠিক। বাকি দুটো ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে আমরা পৌঁছতেই পারি। পরের দুটো ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ব।’’
অভিশপ্ত প্রথম ম্যাচ ভুলে পরের ম্যাচগুলোয় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বেইতিয়া।
আরও পড়ুন: টেস্টে অনন্য রেকর্ড! এ বার ব্র্যাডম্যানকেও পিছনে ফেললেন রোহিত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy