Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

আরাতার গোল দেখে মুগ্ধ বিজয়ন

কেরল ব্লাস্টার্স এখন অতীত। নাটকীয় জয় পেয়েও আকাশে উড়ছে না আটলেটিকো দে কলকাতা। বরং তাদের মাটিতেই পা। তাদের সামনের লক্ষ্য দিল্লি জয়।

সোহম দে
কোচি শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:০০
Share: Save:

কেরল ব্লাস্টার্স এখন অতীত। নাটকীয় জয় পেয়েও আকাশে উড়ছে না আটলেটিকো দে কলকাতা। বরং তাদের মাটিতেই পা। তাদের সামনের লক্ষ্য দিল্লি জয়।

আটলেটিকো শিবিরে পার্টির মেজাজের বদলে এখন সংযমী আবহাওয়া। বুধবার দুপুরে আটলেটিকোর টিম হোটেলে গিয়ে দেখা গেল ফুটবলাররা ঘরবন্দি হয়ে আছেন। জোড়া গোলের নায়ক ইজুমি আরাতাকে অনেক চেষ্টা করেও ধরা গেল না। সকালে অবশ্য অর্ণব-বোরহারা টিম হোটেলেই জিম সেশন করেছেন। বিশেষ করে যাঁরা খেলেননি কেরল ম্যাচে। এক এটিকে সদস্য বললেন, ‘‘একটা ম্যাচ জিতেছি, ঠিক আছে। এখনও পাঁচটা খেলা পড়ে আছে। পাঁচটাই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, এখনও কেউ সেমিফাইনালে উঠে যায়নি।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘গোয়া, চেন্নাই, মুম্বই, পুণের মতো দলের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এখনও ম্যাচ পড়ে রয়েছে। এ বছর লিগটা খুব ওপেন হচ্ছে। প্রচুর অঘটন ঘটছে। যে কোনও টিম যে কোনও টিমকে হারিয়ে দিচ্ছে।’’

কলকাতার জন্য অবশ্য একটা মিনি-ধাক্কা হাজির দিল্লি ম্যাচের আগে। চোটের সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে আটলেটিকো। এই অবস্থায় হঠাৎ-ই চোট পেলেন গ্যাভিলান। কেরল ম্যাচে চোট পেয়ে বুধবার সারা সকাল ফিজিওর সঙ্গে কাটান তিনি।

দিল্লি ডায়নামোসের বিরুদ্ধে শেষ অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এ দিন বিকেলেই দিল্লি রওনা হয়ে গেল আটলেটিকো। ম্যাচের আগে দলের রক্ষণ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন হাবাস। দলকে সতর্কও করেছেন। বলে দিয়েছেন, ঢিলেমি দেখিয়ে এমন ভাবে গোল না খাওয়ার জন্য।

কেরল-কলকাতা ম্যাচ পুরো দেখেছেন প্রাক্তন ভারতীয় স্ট্রাইকার আইএম বিজয়ন। কালো হরিন খুশি কলকাতার আক্রমণের স্টাইল দেখে। ‘‘গোটা ম্যাচটাতেই দেখলাম কলকাতার গোল করার একটা মরিয়া চেষ্টা ছিল। কেরল দু’বার গোল শোধ করে দিলেও কলকাতা ছেড়ে দেয়নি। সে জন্যই তিন নম্বর গোলটা করতে পারল। আরাতার গোলগুলো তো দুর্দান্ত। টিমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোলগুলো করেছে।’’ অ্যাওয়ে ম্যাচে ভাল খেললেও ঘরের মাঠে এখনও পর্যন্ত তিনটের মধ্যে দুটো হেরে বসে রয়েছে কলকাতা। বাড়তি চাপের জন্য কী? বিজয়ন বললেন, ‘‘ঘরের মাঠে একটা চাপ থাকেই। কিন্তু তার জন্য কলকাতা খারাপ খেলছে, সে রকম ব্যাপার নয়। ওরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না।’’

বিজয়নের সঙ্গে একমত আর এক প্রাক্তন ভারতীয় স্ট্রাইকার ও ইস্টবেঙ্গল কোচ বিশ্বজিত্ ভট্টাচার্যও। কলকাতা থেকে ফোনে তিনি বলছিলেন, ‘‘ঘরের মাঠে খেলার চাপ তো আছেই। কী সমস্যা হচ্ছে, সেটা এখান থেকে আমার পক্ষে বলা মুশকিল। তবে আরও বেশি সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। নর্থইস্ট ম্যাচটায় দেখেছিলাম অনেক সুযোগ নষ্ট করছে কলকাতা।’’ পরিস্থিতি যা তাতে এটিকে শিবির মনে করছে, কোন ম্যাচে কী ফল হচ্ছে দেখার দরকার নেই, সব ম্যাচ নক আউট ধরে এগোক হাবাসের টিম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE