জয়ের পথে ভারত। অধিনায়ক কোহালির উচ্ছ্বাস।
অশ্বিনের ৬ উইকেট। পূজারার ৯২ রান। ঋদ্ধিমানের অসাধারণ ক্যাচ। পিচের প্যাচ। সঙ্গে পুরো দলের সিরিজে ফেরার অদম্য লড়াই। ১৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর এক ম্যাচে হেরে আবার জয়ে ফেরা। স্বমহিমায় বিরাট অ্যান্ড ব্রিগেড।
প্রথম টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছিল তিন দিনে। তৃতীয় টেস্ট শেষ হল চারদিনে। ৭৫ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সমতায় ফিরল ভারত। এ যাত্রায় এটাই ভারতের পিচের মহিমা। পুণের পিচ নিয়ে নানা কথা উঠেছিল। ম্যাচ রেফারির রিপোর্টও পৌঁছে গিয়েছে আইসিসিতে। পুণে পিচকে ‘খারাপ’ আখ্যা দিয়েছিল ম্যাচ রেফারি। এ বার পালা বেঙ্গালুরু পিচে। অনেক বড় মুখ করে আয়োজকরা বলেছিলেন স্পোর্টিং পিচই বানাবেন তিনি। কিন্তু কোথায় কী? একটি ইনিংসের রানও ৩০০-এর গণ্ডি পেড়তে পারল না। প্রথম ব্যাটিং কাজে লেগে গেল দুই টেস্টেই। প্রথম টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জিতেছিলেন স্মিথরা। জয়ের ব্যবধান ছিল ৩৩৩ রানের। আর দ্বিতীয় টেস্টে টস জয়টাই সাহায্য করল ভারতকে। সেই প্রথমে ব্যাটিং। সেই চতুর্থ ইনিংসে আটকে যাওয়া।
আরও খবর: কোহালির আউট নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে
লাঞ্চের আগেই অল-আউট হয়ে যায় ভারত। ১৮৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। এমন কিছু বড় লক্ষ্য তো ছিলই না বরং হাতে ছিল আরও একটা পুরো দিন। ক্রিজে টিকে থাকলে জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপটে এ যাত্রায় আর সেটা হল না। ব্যাটিং বিপর্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে বোলিংয়ের ধারও হয়তো ফিরে পেল ভারত। যদিও পরের ম্যাচেই সেটা প্রমাণ হবে। এখনই বলার সময় আসেনি। কিন্তু ওয়ার্নার, স্মিথদের ক্রিজে টিকতে দেননি অশ্বিন, জাডেজারা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রান স্মিথের ২৮। শুধু জয়ই এল এমনটা নয়, এই জয়ের হাত ধরেই ফিরলেন দেশের সেরা স্পিনার, টেস্টের সেরা বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর শিকারের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললেন ডেভিড ওয়ার্নার, হ্যান্ডসকম্ব, মার্শ, ওয়েড, স্টার্ক ও লিয়ঁ। জোড়া উইকেট উমেশ যাদবের। একটি করে উইকেট নিলেন ইশান্ত শর্মা ও রবীন্দ্র জাডেজা। বোলারদের দাপটে ১১২ রানেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
উইকেট পেলেন উমেশ যাদবও।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৮৯ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। সেখানে বড় রান বলতে লোকেশ রাহুলের ৯০। আট উইকেট নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডও করে ফেলেছিলেন লিয়ঁ। জবাবে ব্যাট করতে এসে ২৭৬ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। এ বার কাজ করে গেল রবীন্দ্র জাডেজার বল। ছয় উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় বোলিংকে যখন ভরসা দিলেন জাডেজা-অশ্বিন ঠিক তখনই ব্যাটিংয়ে ভারতীয় ইনিংসকে আস্থা দিয়ে গেলেন লোকেশ, পূজারা, রাহানেরা। দুই ইনিংসে ৯০ ও ৫১ রান করে ম্যাচের সেরা হলেন ওপেনার লোকেশ রাহুল।
ছবি: রয়টার্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy