Advertisement
E-Paper

তিন স্পিনারের ধাঁধাঁয় ধরাশায়ী ইংল্যান্ড, ম্যাচের সেরা কোহালি

যেমন শুরু তেমনই শেষ। প্রথম টেস্ট ড্র করার পর দ্বিতীয় টেস্টেই বাজিমাত টিম কোহালির। যেন সবটাই লেখা ছিল ভারতের নামেই। না হলে অভিষেক টেস্টেই দারুণভাবে সফল জয়ন্ত যাদবও ব্যাটে বলে ছাপ রেখে গেলেন জয়ের টেস্টে। তাঁর নামের পাশে লেখা হল চার উইকেট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৬ ১৫:০৮
জয়ের উল্লাস ভারতীয় শিবিরে। ছবি: রয়টার্স।

জয়ের উল্লাস ভারতীয় শিবিরে। ছবি: রয়টার্স।

ভারত ৪৫৫ ও ২০৪

ইংল্যান্ড ২৫৫ ও ১৫৮

২৪৬ রানে জয় ভারতের

যেমন শুরু তেমনই শেষ। প্রথম টেস্ট ড্র করার পর দ্বিতীয় টেস্টেই বাজিমাত টিম কোহালির। যেন সবটাই লেখা ছিল ভারতের নামেই। না হলে অভিষেক টেস্টেই দারুণভাবে সফল জয়ন্ত যাদবও ব্যাটে বলে ছাপ রেখে গেলেন জয়ের টেস্টে। তাঁর নামের পাশে লেখা হল চার উইকেট। সঙ্গে প্রথম ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ ৩৫ রানের ইনিংস তো আছেই। অশ্বিন তো ছিলেনই। সঙ্গে কখনও পূজারা তো কখনও শামি জাদেজারা। যার ফল পাঁচ ম্যাচের টেস্ট ১-০তে এগিয়ে গেল ভারত।

পিচের চরিত্র অনুযায়ী প্রথমে ব্যাট করাটাই ছিল লক্ষ্য। সেই মতো টস জিতে ব্যাট করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কোহালি। যেটা রাজকোট টেস্টে হয়নি। কিন্তু বিশাখাপত্তনম প্রথম থেকেই প্রসন্ন ছিল ভারতের উপর। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৫৫ রান তুলেছিল ভারত। সেখানে অল্পের জন্য ডবল সেঞ্চুরি মিস করেন অধিনায়ক। ১৬৭ রানে আউট হন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত চেতেশ্বর পূজারার। প্রথম টেস্টেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল সেঞ্চুরি। এ বারও খেললেন ১১৯ রানের ইনিংস। নিয়মিত ব্যাটসম্যানরা প্যাভেলিয়নে ফিরে যেতে ভারতের ইনিংসকে আরও একটু পোক্ত করল অশ্বিনের ৫৮ রানের ইনিংস।

বিশাখাপত্তনমে ভারতীয় সমর্থকদের জয়োল্লাস। ছবি: এএফপি।

এই পিচে ৪৫৫ রানের লক্ষ্যটা নেহাৎই কম নয়। কারণ তৃতীয় দিন থেকেই চরিত্র বদলাতে শুরু করে পিচ। এখানেও অন্যথা হয়নি। পিচ এমন চরিত্র বদলাল যে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে এসে ২০০ রান পিছনেই শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইনিংস। রুট আর বেয়ারস্টোর দুটো হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া এই ইনিংসে আর কিছুই ছিল না। শুধু পিচ নয় বল হাতে দুরন্ত সফল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পাঁচ উইকেট ইংল্যান্ডের ২৫৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পিছনে মুখ্য ভূমিকা রেখে গেল। একটি করে উইকেট পেলেন শামি উমেশ যাদব, রবিন্দ্র জাদেজা ও জয়ন্ত যাদব।

হতাশ ইংল্যান্ড শিবির। ছবি: রয়টার্স।

কিন্তু পিচ যে ততক্ষণে চূড়ান্ত চরিত্র বদলে ফেলেছে তা প্রমাণ হল ভারত যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ২০০ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামল। প্রথম ইনিংসের সেই মারকাটারি ব্যাটিং কিন্তু আর ফিরে এল না। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৪ রানেই গুটিয়ে যেতে হয়েছিল ভারতীয় ব্যাটিংকে। যেখানে ব্যাট হাতে একমাত্র সফল বিরাট কোহালি। করলেন ৮১ রান। অধিনায়কচিত ঢঙেই ব্যাট চালালেন, দলকে পরিচালনা করলেন আর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট জয় ছিনিয়ে নিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে হাতে সফল ব্রড, রশিদরা।

চতুর্থ দিনের শেষে ভারত ২০৪ রান করে অল-আউট হয়ে যখন প্যাভেলিয়নে ফিরল তখন ইংল্যান্ডের সামনে ৪০৫ রানের টার্গেট। ইংল্যান্ড চতুর্থ দিন শেষ করেছিল ৮৭/২এ। সেখান থেকে শেষ দিন ১৫৮তেই শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইনিংস। অশ্বিনের খাতায় লেখা হল মোট আট উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে সামি ও জাদেজা নিলেন একটি করে উইকেট। শেষ বেলায় বাজিমাত সেই জয়ন্ত যাদবেরই। স্টুয়ার্ট ব্রড ও অ্যান্ডারসনকে এলবিডব্লু করে প্যাভেলিয়নে পাঠিয়ে ম্যাচের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন এই নবাগতই। ম্যাচের সেরা হলেন ক্যাপ্টেন কোহালি।

আরও খবর

‘বোলারদের পিচে পাল্টা মারব বলে ঠিক করেছিলাম’

ধোনির সঙ্গে আলাপ হবে! ভাবলেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে জয়ন্তর

Virat Kohli Alester Cook Jayant Yadav
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy