কড়া চ্যালেঞ্জের মুখেও ফুরফুরে। নাগপুরের প্র্যাকটিসে।
প্রথমের কথাটা একেবারে প্রথমেই বলে নেওয়া ভাল। রবিবার নাগপুরে ইয়ন মর্গ্যানের টিমের বিরুদ্ধে বিরাট কোহালির ভারত শুধু নিছক একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামছে না। ভারত নামছে, টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাঁচাতে, সিরিজে জীবন-মৃত্যুর ম্যাচে। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের শহরে ভারত যদি রবিবার জেতে, তৃতীয় ম্যাচ পর্যন্ত সিরিজ বেঁচে থাকবে। নইলে টেস্ট-ওয়ান ডে-টি-টোয়েন্টি— তিনটেতেই ইংরেজদের চূড়ান্ত পর্যুদস্ত করার স্বপ্ন এ বারের মতো অধরাই থেকে যাবে।
কেউ কেউ ভাবতে পারেন, এতটা শঙ্কিত হয়ে পড়ার কী হল? প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হয়নি, হয়নি। দ্বিতীয়টায় ভারত জিততেই পারে। ঘটনা। পারে। কিন্তু তার আগে কোহালির টিমকে দু’টো পাজলের সমাধান বার করতে হবে। এক, ওপেনিং সমস্যার সমাধান। প্রথম টি-টোয়েন্টি শুধু নয়, ওয়ান ডে সিরিজ থেকেই ভারতকে যা ক্রমাগত ভোগাচ্ছে। আর দ্বিতীয় সমস্যার নাম ক্রিস জর্ডন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে যাঁর ক্ষুরধার বোলিংয়ের কোনও যথাযথ উত্তর ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কাছে ছিল না। বিধ্বংসী পেসার টাইমাল মিলসও কম ভয়ঙ্কর নন। তবে জর্ডনের বোলিংয়ে ধার যেন একটু বেশিই।
জর্ডন নিজেও বেশ উদ্দীপ্ত। আইপিএল নিলামে ভাল দাম পাওয়া নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। গত বার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছিলেন আইপিএল। ইংরেজ পেসারের মনে হচ্ছে, এ বারও তাঁর ভাল দাম পাওয়া উচিত। ‘‘নিলামে আশা করছি টিম পাব। এই একটা টুর্নামেন্ট আমি সত্যি সত্যি খুব উপভোগ করি। আইপিএল যেমন আমাকে মানসিক ভাবে আরও কঠিন করেছে, ঠিক তেমন চাপ নিতেও শিখিয়েছে,’’ শনিবার প্রাক্-যুদ্ধ সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে বলে দেন জর্ডন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লোকেশ রাহুলের উইকেট পেয়েছিলেন এই পেসার। ‘‘আসলে আরসিবির হয়ে খেলার সময় নেটে প্রচুর বল করেছি ওকে। ভাল বন্ধু হয় আমার। ওর উইকেটটা পাওয়ার পর ঠাট্টা-ইয়ার্কিও হয়েছে আমাদের মধ্যে,’’ রাহুলকে আউট করার প্রসঙ্গ ওঠায় বলে দিলেন জর্ডন।
ম্যাচটাও কি পারবেন এ ভাবে মুঠোয় পুরতে?
বলে দিলেন এবং একই সঙ্গে ভারতের প্রথম সমস্যাটা অদৃশ্য ভাবে দেখিয়েও দিলেন।
কারণ সেই সমস্যার নাম— স্বয়ং লোকেশ রাহুল!
রোহিত শর্মা টিমে নেই। তাঁর জায়গায় টানা সুযোগ পাচ্ছেন রাহুল। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে তাঁর রান যা, নিজের কাছেই সেটা বিভীষিকা-সম লাগতে পারে। ৩ ম্যাচ খেলে রান মোটে ২৪! তার উপর শিখর ধবনও চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ায় ওপেনিং-জট আরও জটিল হয়েছে। অবস্থা এতটাই গুরুতর যে, কানপুর টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক বিরাট কোহালিকে উঠে আসতে হয়েছে ওপেনিংয়ে। এবং পরিস্থিতি যা, তাতে নাগপুর টি-টোয়েন্টি যুদ্ধে যদি রাহুলকে বসিয়ে ঋষভ পন্থকে খেলিয়ে দেওয়া হয় ওপেনিংয়ে, অবাক হওয়ার থাকবে না। একটা সম্ভাবনা কিন্তু আছে। ভারতীয় শিবির থেকে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করতে পাঠানো হয়েছিল লেগস্পিনার যজুবেন্দ্র চাহলকে। চাহল বললেন যে, নাগপুরের বড় মাঠ তাঁকে সুবিধে দেবে। ফ্লাইট করালে লাভ হতে পারে। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন মনে হচ্ছে, ও সব ফ্লাইট-টাইট নয়। আসল লাভ হবে ওই দু’টো সমস্যা মেটাতে পারলে।
ওপেনিং আর জর্ডন!
ছবি: পিটিআই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy