পিভি সিন্ধু। ফাইল চিত্র।
অলিম্পিক্স প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পি ভি সিন্ধুর জয়টা প্রত্যাশিতই। এ বার আকানে ইয়ামাগুচিকে হারিয়ে ওর সেমিফাইনালে না ওঠারও কারণ দেখছি না। পদকের আশাও করছি। যদিও জাপানের এই ব্যাডমিন্টন তারকা কবে কেমন খেলবে, তা একেবারেই আগে থেকে আন্দাজ করা যায় না।
সিন্ধুর মাথায় নিশ্চয়ই থাকবে যে এ’বছরের গোড়ার দিকে অল ইংল্যান্ডে ও ইয়ামাগুচিকে হারিয়েছিল। তবু ম্যাচটা হাল্কা ভাবে নেওয়াও খুব ভুল হবে। দেখতে হবে, জাপানি প্রতিপক্ষ কোর্টে কোনও ভাবেই যেন নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে না পারে। তবে খুব ভাল হয়, সিন্ধু যদি নিজের শক্তির খানিকটা অন্তত বাঁচিয়ে রাখে সেমিফাইনালে ওর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী তাই জু ইংয়ের জন্য।
এ বার টোকিয়োতে সিন্ধুর মধ্যে কিন্তু কখনও কোনও রকম আলস্য দেখছি না। যেটা খুবই ভাল লাগছে। এমনকি ম্যাচে অনেকটা এগিয়ে থাকা অবস্থাতেও যথেষ্ট তীক্ষ্ণ দেখাচ্ছে। মানসিক ভাবেও যেন এখন সিন্ধু অনেক বেশি চাপহীন, হাসিখুশি। অলিম্পিক্সের মতো মঞ্চে ওর ইতিবাচক আচরণ দেখলে পদকের আশা সত্যিই বেড়ে যাচ্ছে। কোর্টে আর কোর্টের বাইরে এখন যেন ও অনেকটাই স্বাধীন। নিজেই নিজের সমস্যার সমাধান বার করতে পারছে!
এ বার আসি অন্যদের কথায়। প্রথমেই বি সাই প্রণীত। ছেলেটার বয়স ২৮। আমি তো বলব, ওর মধ্যে অলিম্পিক্স সেমিফাইনাল খেলার ক্ষমতাও ছিল। কিন্তু প্রণীত সম্ভবত নিজেই নিজেকে খাটো করে দেখেছে। যাকে হীনমন্যতা বলে আর কি। তাই তার মাশুল দিয়ে টোকিয়োয় একটাও ম্যাচ না জিতে ফিরে আসছে। খারাপ লাগছে আমাদের ডাবলস জুটি সাত্ত্বিকসাইরাজ রনকিরেড্ডি আর চিরাগ শেট্টির কথা ভেবেও। কপাল নেহাতই খারাপ বলে, এ বার ওদের নকআউটে খেলা হল না। যা মেনে নওয়া খুব কঠিন।
২০১২-র লন্ডন অলিম্পিক্সে আমার আর অশ্বিনী পোনাপ্পার ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। গ্রুপে তিনটি জুটির টাই হয়েছিল। এবং একটুর জন্য আমরা তৃতীয় হয়ে ছিটকে যাই। তবে সাত্ত্বিকদের বয়স খুবই কম। তিন বছর পরেই আবার অলিম্পিক্স। টোকিয়োর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্যারিসে নিশ্চয়ই ওরা সফল হবে। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy