বোর্ডে প্রথম দিন। ডায়না এডুলজি, বিক্রম লিমায়ে ও বিনোদ রাই। -পিটিআই
পার্থিব পটেল? নাকি ঋদ্ধিমান সাহা?
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টের দল নির্বাচনী বৈঠকের আকর্ষণের একমাত্র বিষয়বস্তু যে এই দুই উইকেটকিপারের যুদ্ধ হতে চলেছে, জানত ভারতীয় মিডিয়া। শুধু জানত না, একই দিনে তাদের আরও একটা যুদ্ধ দেখতে হবে।
নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন বনাম লোঢা কমিশন!
শ্রীনি নিজে লোঢা কমিশনের সঙ্গে নতুন একপ্রস্থ যুদ্ধে মঙ্গলবার অবতীর্ণ হয়ে পড়েছেন, ভাবা ঠিক হবে না। কিন্তু তাঁর একান্ত বিশ্বস্ত অনুচর করেছেন তো বটেই। বোর্ডের যুগ্ম সচিব অমিতাভ চৌধুরি যে প্রবল ভাবে শ্রীনি-ঘনিষ্ঠ, তা ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসন সম্পর্কে একটু-আধটু খবর রাখা যে কেউ বলে দেবে। এবং তাঁর পরিণতিও বাংলাদেশ টেস্টে পার্থিবকে বসিয়ে ঋদ্ধিমানের প্রত্যাবর্তনের চেয়ে কম আকর্ষণীয় কিছু হল না।
বোর্ড যুগ্ম সচিবকে তো প্রায় অর্ধচন্দ্র খেতে হল!
নয়াদিল্লিতে এ দিন দল নির্বাচনী বৈঠক ছিল। বোর্ড যুগ্ম সচিব তাতে ঢুকতে গেলে ঝামেলা বেঁধে যায়। তীব্র ধোঁয়াশায় পড়ে যায় উপস্থিত মিডিয়াও।
প্রথমে ঠিক ছিল দুপুর বারোটায় নির্বাচনী বৈঠক হবে। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে তা পিছোতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর মিডিয়াকে বলা হয়, বারোটা নয়। দুপুর তিনটেয় বৈঠক। কিন্তু সাড়ে তিনটে নাগাদ দেখা যায়, অন্যতম জাতীয় নির্বাচক শরণদীপ সিংহ হোটেলে ঢুকছেন। তারও প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক বাদে বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধান এমভি শ্রীধর নেমে এসে সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকটা ব্যাপারে কিছু ব্যাখ্যার খোঁজ চলছে। ছ’টা নাগাদ বৈঠক শুরু হবে।
শোনা গেল, সেই ব্যাখ্যার পুরোটাই অমিতাভ চৌধুরির বৈঠকে উপস্থিতি নিয়ে। যে, তিনি বৈঠকে থাকার যোগ্য, নাকি যোগ্য নন। যা খবর, তাতে নাকি বোর্ড যুগ্ম সচিবকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। শেষে বিনোদ রাই নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনিক প্যানেল যুগ্ম সচিবকে বলে দেন, তিনি বৈঠকে থাকতে পারবেন না। বরং নির্বাচনী বৈঠক আহ্বায়ক হিসেবে বোর্ড সিইও রাহুল জোহরি যোগ দেন ভিডিও কনফারেন্সে, মুম্বই থেকে।
এবং বোর্ড যুগ্ম সচিবের এ হেন বৈঠকে ঢুকতে চাওয়া নিয়ে শ্রীনি ঘনিষ্ঠদেরই কেউ কেউ বেশ অবাক। এঁরা বলছেন, এটা অমিতাভই সুযোগ নিতে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত পারেননি। এঁদের বক্তব্য হল, আদালতের অর্ডারে কোথাও বলা নেই যে সিনিয়র দল নির্বাচনী বৈঠকে সচিবের অনুপস্থিতিতে বোর্ড যুগ্ম সচিব আহ্বায়কের কাজ করবেন। পরিষ্কার বলা আছে, সিইও রাহুল জোহরিই আহ্বায়ক হবেন সিনিয়র সিলেকশন মিটিংয়ের। জুনিয়রের ক্ষেত্রে বোর্ড যুগ্ম সচিব। ঘটনা হল, তাঁরা যা-ই বলুন, অমিতাভের এ হেন অপদস্থ হওয়া দেখে ক্রিকেটমহলে আরও একটা কথা বলাবলি চলছে।
মঙ্গলবারের নয়াদিল্লি বুঝিয়ে গেল, বোর্ড যুগ্ম সচিব হিসেবে অমিতাভ চৌধুরি এখন নামেই আছেন। তাঁর সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দুবাইয়ে আইসিসি বৈঠকে তিনি যাবেন ঠিকই, কিন্তু শুধুই প্রশাসনিক প্যানেলে থাকা বিক্রম লিমায়েকে সাহায্য করতে। আইসিসি-র কাজটা জেনে উঠতে বিক্রমের যত দিন লাগে আর কী!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy