কয়েকদিনের ছুটি, আবার মাঠে নেমে পড়ল ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দল। এ বার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে মিলেই চলবে এই শিবির। লক্ষ্য এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্ব। বিশ্বকাপের ২১ জনের দল থেকে ১৭ জনকে রেখে দেওয়া হয়েছে এই শিবিরে। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে ডেকে নেওয়া হয়েছে ১১ জনকে। নয়া দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এই দুই দলকে মিলিয়ে শুরু হয়ে গেল প্র্যাকটিস পর্ব। এএফসি অনূর্ধেব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে খেলতে হবে গ্রুপ ‘ডি’তে। ভারতের সঙ্গে এই গ্রুপে রয়েছে সৌদি আরব, ইয়েমেন ও তুর্কমেনিস্তান। ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হব কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ। হেনড্রি অ্যান্তনি, সানি ধালিওয়াল, নমিত দেশপাণ্ডে ও মহম্মদ শাহজাহান বাদ পড়েছে এই দল থেকে। ধীরাজ সিংহ ও আনোয়ার আলির আজ যোগ দেওয়ার কথা।
আরও পড়ুন
‘শুধু শিল্পেরই নয়, সাম্বা সুর এখন শক্তিরও’
বিশ্বকাপের পর এই ছেলেরা মাত্র তিন-চার দিনই ছুটি পেয়েছিল। কিন্তু কোচ লুই নর্টন দে মাতোসের পরিবারে কোনও ছাড় নেই। প্রথম দিনই দু’ঘণ্টা অনুশীলন চলল পর্তুগিজ কোচের কড়া নজরে। অনূর্ধ্ব-১৭ ও ১৯ দলের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচও খেলালেন তিনি। যদিও সেখান থেকে উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। বিশ্বকাপ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে নামা জিকসন, অভিজিতদের খেলায় তার প্রভাব বিশেষ দেখা গেল না। অনুশীলন শেষে মাতোস বলেন, ‘‘আমি দেখতে চাই অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ফুটবলাররা কী ভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে মানিয়ে নেবে। আমি জানি ওরা বিশ্রাম পায়নি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হল খেলার মধ্যে থাকা। আমাদের প্রতিপক্ষ খুব কঠিন। ওই পর্যায়ে ফুটবল খেলতে গেলে খেলাটা চালিয়ে যেতে হবে।’’
আরও পড়ুন
অল-আফ্রিকা প্রি-কোয়ার্টার জিতে মালির সামনে ঘানা
কোচকে এই মুহূর্তে ভাবাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের অধিনায়ক অমরজিৎ সিংহ কিয়ামের চোট। গ্রো-ইন-এর চোটের জন্য এ দিনের অনুশীলনে নামেনি অমরজিৎ। মাঠের বাইরেই বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। অমরজিতের ভাই ও একমাত্র গোলদাতা জিকসন সিংহ বিশ্বকাপ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেই স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছে, তারা তৈরি। বলেন, ‘‘আমরা আর কোনও দলকেই ভয় পাই না। বিশ্বকাপ আমাদের শিখিয়েছে কী ভাবে চাপ সামলাব আর কী ভাবে সুযোগ কাজে লাগাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy