Advertisement
E-Paper

কেদারের সেঞ্চুরির দাপটে হারারে-হোয়াইটওয়াশ

মঙ্গলবারের পর মণীশ পাণ্ডের মনে হরভজন সিংহের জন্য যদি বিশেষ জায়গা তৈরি হয়ে যায়, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জীবনের প্রথম ওয়ান ডে খেলতে নামার প্রাক্ লগ্নে জলন্ধরের স্পিনার নীল টুপিটা তুলে দেন মণীশের হাতে। যে ম্যাচের স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে, প্রথম ওয়ান ডে-তে তরুণ মণীশের সংগ্রহ ৭১ রান।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৫ ০৩:২২
সেঞ্চুরির পর কেদার যাদব।

সেঞ্চুরির পর কেদার যাদব।

মঙ্গলবারের পর মণীশ পাণ্ডের মনে হরভজন সিংহের জন্য যদি বিশেষ জায়গা তৈরি হয়ে যায়, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জীবনের প্রথম ওয়ান ডে খেলতে নামার প্রাক্ লগ্নে জলন্ধরের স্পিনার নীল টুপিটা তুলে দেন মণীশের হাতে।
যে ম্যাচের স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে, প্রথম ওয়ান ডে-তে তরুণ মণীশের সংগ্রহ ৭১ রান। যেটা দেখাচ্ছে না এবং যেটা সমান গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হল কেদার যাদবের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে তাঁর ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ। যার সৌজন্যে জিম্বাবোয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচটা সবচেয়ে কর্তত্বের সঙ্গে জিতল ভারত।
হারারের মাঠ কেদারের কাছেও কম স্পেশ্যাল হয়ে থাকবে না। এই মাঠেই এল তাঁর জীবনের প্রথম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি। ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ বলে অপরাজিত ১০৫-এর মালিক স্বাভাবিক ভাবেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ। যে পুরস্কার নিয়ে কেদার বলে দিয়েছেন, ‘‘অসাধারণ অনুভূতি এটা। আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। অজিঙ্ক আর সাপোর্ট স্টাফও খুব সমর্থন করেছেন আমাকে।’’
কেদার-মণীশের জুটি শেষ পর্যন্ত ভারতের জয় খুব সহজ করে দিলেও শুরুটা কিন্তু অজিঙ্ক রাহানেদের পক্ষে যায়নি। কারণ আর কিছুই নয়, ফের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। রাহানে (১৫), মুরলী বিজয় (১৩), রবিন উথাপ্পা (৩১) এবং মনোজ তিওয়ারির (১০) ব্যর্থতায় একটা সময় ৮২-৪ হয়ে যায় ভারত। তার পর থেকে অবশ্য ম্যাচের রাশ রাহানেদের হাতেই চলে আসে। কেদার-মণীশের ইনিংসের উপর ভর করে ২৭৬-৫ তুলে দেয় ভারত।

সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার।

জিম্বাবোয়ের হয়ে পাল্টা লড়াইটা দিচ্ছিলেন চামু চিভাভা। দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তেও যাঁর হাফসেঞ্চুরি আছে। এ দিন তাঁর ৮২ রানের ভিত ৩৫ ওভারে জিম্বাবোয়েকে ১৫০-৩ স্কোরে পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু তার পর লড়াই ধরে রাখা দূরের কথা, মাত্র ৪৩ রানে সাত উইকেট খুইয়ে ভারতকে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ উপহার দিয়ে আসে এলটন চিগুম্বুরার টিম। স্টুয়ার্ট বিনির তিন উইকেট বোলারদের মধ্যে সেরা। একটা সময় হ্যাটট্রিকের সামনে ছিলেন হরভজনও।

‘‘কেদার-মণীশের পার্টনারশিপ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। টিমের জন্য আমি খুব খুশি। সিরিজ জেতার খিদেটা আমাদের সবার মধ্যে ছিল। প্রথম ম্যাচে অম্বাতি রায়ডুর সেঞ্চুরি, তার পর বিজয় আর আজ কেদার। বোলাররাও ভাল করেছে,’’ সিরিজ শেষে বলেন তৃপ্ত ভারতীয় অধিনায়ক রাহানে। তাঁর আইপিএল টিম রাজস্থান রয়্যালসের সাসপেন্ড হয়ে যাওয়া নিয়ে অবশ্য তিনি কিছু বলেননি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ভারত ২৭৬-৫ (যাদব ১০৫ নট আউট, মণীশ ৭১)

জিম্বাবোয়ে ১৯৩ (চিভাভা ৮২, বিনি ৩-৫৫)

ছবি: এএফপি

india vs zimbabwe kedar yadav century kedar yadav india win series whitewash
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy