অকপট: তাঁর বাউন্সারে কেউ চোট পাননি ভেবে এখন স্বস্তি পান জেফ টমসন। ফাইল চিত্র
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের টেস্ট সিরিজ জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই জেফ টমসনের। শুধু জেতাই নয়, কিংবদন্তি এই প্রাক্তন ফাস্ট বোলার এও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতবে বিরাট কোহালির দল।
সাহিত্য উৎসবে অংশ নিতে ভুবনেশ্বরে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এই ফাস্ট বোলার। যেখানে ভারতের আসন্ন টেস্ট সিরিজ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে টমসন বলেন, ‘‘ভারতের দলটা খুব জমাট। পেস আক্রমণ খুব ভাল। ঠিক মতো খেললে সিরিজ না জেতার কোনও কারণ নেই। স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার এই সিরিজে খেলবে না। ওদের ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং কিন্তু খুবই সাধারণ পর্যায়ের।’’ বল বিকৃতি কাণ্ডে জড়িয়ে পরে আপাতত নির্বাসনে আছেন স্মিথ-ওয়ার্নার। টমসন মনে করেন, ওই ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট হলেও ক্রিকেটারদের ১২ মাস সাসপেন্ড করাটা বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা যে রকম খেলেছেন, তাতে একেবারেই খুশি নন টমসন। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের ফুটওয়ার্ক দেখেছেন? ওরা যেন সব বলই মাঠের বাইরে পাঠাতে চাইছিল। টেকনিকের কোনও বালাই নেই। অতিরিক্ত ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কুফল এটা।’’
আরও পড়ুন: শাহরুখকে দেখলে ইডেনে টেস্ট না খেলার দুঃখ হয় লারার
ভারতের ব্যাটিং নিয়ে বলার সময় স্বাভাবিক ভাবে উঠে আসে বিরাট কোহালি প্রসঙ্গ। কোহালিকে কি নতুন সচিন তেন্ডুলকর বলা যায়? প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে টমসন বলেন, ‘‘বিরাট কোহালি দারুণ এক জন ব্যাটসম্যান হিসেবে উঠে আসছে, কিন্তু অন্য কোনও যুগ হলে হয়তো ও অন্য ভাবে খেলত। এখন তো দেখি, কোনও ব্যাটসম্যান দু’ওভার রান না পেলেই দুমদাম চালিয়ে বাউন্ডারি তুলে নিচ্ছে।’’ কোহালি যে কঠিন মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেটটা খেলেন, সেটা ভারতের বাকিদের মধ্যেও দেখতে চান টমসন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কোহালি যে রকম কঠিন মানসকিতার পরিচয় দেখায় খেলার সময়, বাকিদেরও সেটা দেখানো উচিত। ও আউট হয়ে গেলেও বাকিদের লড়াইটা জারি রাখতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় ৩০০-৩৫০ রান করলেই জেতা যাবে বলে আমার মনে হয়।’’
তিনি যখন ক্রিকেট খেলতেন, টমসনের গতির সামনে বারবার আত্মসমর্পণ করেছেন ব্যাটসম্যানরা। কত জোরে বল করতেন আপনি? ৫১ টেস্টে ২০০ উইকেট পাওয়া ৬৮ বছরের এই প্রাক্তন ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘‘আমার সময় গতি মাপা হত, যখন বল গিয়ে ব্যাটে লাগত, তখন। এখন তো বোলারের হাত থেকে বেরনোর সময়ই বলের গতি মাপা হয়। এখনকার পদ্ধতিতে আমার বলের গতি নির্ঘাত ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটারের আশে পাশে হত।’’ এর পরেই তিনি যোগ করেছেন, ‘‘পারথে যখন বল করতাম, তখন অনেক সময়ই এমন হয়েছে বল ব্যাটসম্যানের মাথার ওপর দিয়ে সাইট স্ক্রিনে গিয়ে লেগেছে।’’
বলা হয়, এক বার টমসনের বলে জখম হওয়ার পরে শ্রীলঙ্কার দলীপ মেন্ডিস নাকি হুমকি দিয়েছিলেন, পুলিশে অভিযোগ জানাবেন। সে ঘটনার কথা মনে করতে না পারলেও টমসন বলেছেন, ‘‘খেলার সময় যে কাউকে জখম করিনি, এতেই আমি খুশি। তখন হেলমেট ছিল না, বাউন্সারে বিধিনিষেধ ছিল না, এই পরিস্থিতিতে আমার বলে যে কেউ জখম হয়নি, এটা ভেবে ভাল লাগে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy