Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ বার জর্ডন এবং ওমানের বিরুদ্ধে খেলবেন সুনীলেরা

২০১৯ সালের শুরুতেই এশিয়ান কাপ। ‘এ’ গ্রুপে ভারতের সঙ্গে রয়েছে আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বাহরিন ও তাইল্যান্ড।

সংবর্ধনা: সুঝৌয়ে এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে জাতীয় দলের ফুটবলারেরা। রবিবার দুপুরে দেশে রওনা হওয়ার আগে। ছবি:  এআইএফএফ।

সংবর্ধনা: সুঝৌয়ে এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে জাতীয় দলের ফুটবলারেরা। রবিবার দুপুরে দেশে রওনা হওয়ার আগে। ছবি: এআইএফএফ।

শুভজিৎ মজুমদার
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২৪
Share: Save:

চিনে দুর্দান্ত সাফল্যের পরে ভারতীয় ফুটবল দলের নজরে এ বার মধ্যপ্রাচ্য। এএফসি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি নিতে জর্ডন এবং ওমানের বিরুদ্ধে খেলবেন সুনীল ছেত্রীরা।

২০১৯ সালের শুরুতেই এশিয়ান কাপ। ‘এ’ গ্রুপে ভারতের সঙ্গে রয়েছে আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বাহরিন ও তাইল্যান্ড। ৫ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ তাইল্যান্ড। কিন্তু ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রতিপক্ষ ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে ২০ ধাপ (৭৭) এগিয়ে থাকা শক্তিশালী সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। চার দিন পরে সুনীল ছেত্রীরা গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবেন বাহরিনের। এই দুই ম্যাচের কথা মাথায় রেখেই মধ্যপ্রাচ্যের দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলতে চান কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সপ্তাহে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের চেয়ে ১৩ ধাপ পিছিয়ে থাকা (১১০) জর্ডনের জাতীয় দলের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচ জেজে লালপেখুলায়ারা খেলবেন ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের চেয়ে ১২ ধাপ (৮৫) এগিয়ে থাকা ওমানের বিরুদ্ধে ২৭ ডিসেম্বর। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস বললেন, ‘‘এশিয়ান কাপে সাফল্য পেতে হলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বিরুদ্ধে খেলা অত্যন্ত জরুরি। এই মুহূর্তে দু’টো প্রস্তুতি ম্যাচ চূড়ান্ত হয়েছে। প্রথম ম্যাচে আমাদের প্রতিপক্ষ জর্ডন। তার পরে খেলব ওমানের বিরুদ্ধে।’’

জর্ডনের মাটিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। অথচ ওমানের বিরুদ্ধে খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। কেন? টিম ম্যানেজমেন্টের যুক্তি, ওমানের মাটিতে খেলা হলে ফুটবলারদের ক্লান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, ম্যাচ খেলেই তাঁদের রওনা হতে হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উদ্দেশে। দ্বিতীয়ত, এশিয়ান কাপের আয়োজক এ বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। তাই সেখানে খেললে আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগও বেশি পাবেন ফুটবলারেরা। তৃতীয়ত, ওমানে ম্যাচ খেলে পরের দিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পৌঁছে অনুশীলন করার সুযোগ নাও পাওয়া যেতে পারে। এই মুহূর্তে একটা দিনও যে নষ্ট করতে চান না স্টিভন, শনিবার রাতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে চিন ম্যাচের ফল নিয়ে ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস দেখাতেও বারণ করে দিয়েছেন।

ভারতীয় দলের ফুটবলারেরা অবশ্য কোচের দেখানো রাস্তাতেই হাঁটছেন। তবে শনিবার রাতে সুঝৌয়ে তাঁরা যে চিনের দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন, তা ম্যাচের পরেই বোঝা গিয়েছে। সুনীলেরা মাঠ ছাড়ার সময় দর্শকেরা হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। মিক্সড জোনেও আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন তাঁরা। যদিও চিন ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব করা সন্দেশ বলেছেন, ‘‘আমি সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। তাই নিজের খেলায় সন্তুষ্ট নই। বাকিরা সবাই দুর্দান্ত খেলেছে। দলের প্রয়োজনে সুনীল, জেজেরা নেমে এসে রক্ষণকে সাহায্য করেছে। দলগত সংহতিই আমাদের অস্ত্র।’’ সন্দেশ খোলাখুলি স্বীকার করেছেন, গুয়াংঝৌ এভারগ্রাঁদে-তে ব্রাজিলের বিশ্বকাপার পাওলিনহোর সতীর্থ গাও লিনকে আটকাতে সমস্যায় পড়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘চিনের ১৮ নম্বর স্ট্রাইকার (লিন) দুর্দান্ত। ওকে আটকানোই ছিল সব চেয়ে কঠিন পরীক্ষা।’’ ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে স্টিভন বলেছিলেন, চিন গোল করার সুযোগ বেশি পেয়েছিল। সন্দেশের মতে, ‘‘তুল্যমূল্য লড়াই হয়েছে। দু’টো দলই গোল করার সুযোগ পেয়েছিল। আমরা জিততেও পারতাম।’’

রবিবার দুপুরে ভারতীয় দূতাবাসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ভারতীয় দলকে। সেখানেও গুরপ্রীত, প্রীতম কোটালদের নিয়ে একই রকম উন্মাদনার ছবি। সুঝৌ ছাড়ার আগে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে ফুটবলারদের স্বাক্ষর করা জার্সি উপহার তুলে দেওয়া হয় দূতাবাসের কর্মীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE