মাতেরাজ্জি। আজ নজর আক্রমণে। ছবি: উৎপল সরকার।
প্রশ্ন: আইএসএল টু-তে দলের প্রস্তুতি কেমন চলছে?
মাতেরাজ্জি: আমি খুব সন্তুষ্ট দলের প্রস্তুতি নিয়ে। এ বার আমাদের দল গতবারের তুলনায় শক্তিশালী।
প্র: গতবার শেষ চারের বাধা টপকাতে পারেনি আপনার দল। এ বার কি ফেভারিট হিসাবে ধরতে পারি আপনার টিমকে?
মাতেরাজ্জি: আইএসএল মানেই যে দল যাকে খুশি হারাতে পারে। তাই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রতিটা দলের সমান সুযোগ আছে। আমাদেরও আছে।
প্র: চেন্নাইয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি কী?
মাতেরাজ্জি: আমাদের দল খুবই ভাল। তবে আক্রমণটা সবচেয়ে ভাল।
প্র: তার মানে আপনার টিমের কাছ থেকে অনেক গোল আশা করা যেতে পারে?
মাতেরাজ্জি: ইলানোর সঙ্গে এ বার ফিকরুও রয়েছে। এটা তো আমাদের বাড়তি শক্তি। তা ছাড়াও মেন্দোজা, জেজে, বলবন্তের মতো দুর্দান্ত ফুটবলার রয়েছে। মেন্দোজা তো চেন্নাইকে এত ভালবাসে যে তার জন্য করিন্থিয়ান্স ছেড়ে চলে এল।
প্র: আপনি টানা দু’বছর চেন্নাইয়ে কোচিং করাচ্ছেন। গত বছরের থেকে এ বছরের পার্থক্য কী?
মাতেরাজ্জি: গত বার বেশি সময় পাইনি। এ বার দল গোছাতে অনেক বেশি সময় পেয়েছি। এটাই পার্থক্য।
প্র: ফিকরু গত বারও পাঁচ গোল করেছিলেন আটলেটিকোর হয়ে। ওঁকে নেওয়ার কি এটাই আসল কারণ ছিল?
মাতেরাজ্জি: ফিকরু খুবই ভাল ফুটবলার। ওর আইএসএল খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আগের বার ভাল খেলেছিল। ওর সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে যে, ও হার মানে না।
প্র: ইলানো কি কলকাতার বিরুদ্ধে আপনার দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বা অস্ত্র?
মাতেরাজ্জি: আমি মনে করি একটা দলে সবার সমান অবদান থাকা উচিত। সেটাই একটা ভাল দলের কাজ। তবে ইলানো আমাদের মার্কি ফুটবলার। ড্রেসিংরুমে ওর প্রভাব অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাকিদের সামলানোর কাজটা করতে হবে ওকেই। সামলায়ও।
প্র: প্রথম ম্যাচেই আপনার সামনে গত বারের চ্যাম্পিয়ন আটলেটিকো দে কলকাতা। এটা তো বড় চ্যালেঞ্জ?
মাতেরাজ্জি: কে সামনে ভাবছি না। আমি শুধু ভাবছি আমাদের তিন পয়েন্ট পেতেই হবে।
প্র: কলকাতাকে গতবার চ্যাম্পিয়ন করা টিমের দুই সেরা অস্ত্র--বেটে এবং ফিকরু এ বার আপনার দলে। অনেকেই বলছেন, কলকাতার টিমটা এ বার তেমন ভাল হয়নি।
মাতেরাজ্জি: এটুকু বলতে পারি কলকাতা খুবই শক্তিশালী। ওরা ভাল করেই প্রস্তুতি নিয়ে নামছে। চ্যাম্পিয়ন দল বলে কথা।
প্র: বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইতালির ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ে আপনার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই ফাইনালের সেরা মুহূর্ত কী?
মাতেরাজ্জি: আমার কাছে সেরা মুহূর্ত ছিল যখন হেড দিয়ে দলকে সমতায় ফেরালাম। তার পরে আবার টাইব্রেকারেও গোল করেছিলাম। কিন্তু সবচেয়ে স্মরণীয় মুহুর্ত, বিশ্বকাপটা হাতে ধরা।
প্র: আজও কি সেই হেডের গোলটা নিয়ে ভাবেন?
মাতেরাজ্জি: অবশ্যই ওই মুহূর্তটার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। ওটা কোনও দিন ভুলব না।
প্র: ভারতে আপনি কোচিং করাচ্ছেন দ্বিতীয় বছর। আইএসএলের অভিজ্ঞতা কী রকম?
মাতেরাজ্জি: আমার মনে হয় আইএসএল ভারতীয়দের জন্য খুব বড় একটা মঞ্চ। তবে এখান থেকে ভারতীয় ফুটবলার তৈরি করতে পারলে তবেই লাভ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy