সুপার কাপে খেলার পক্ষে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রধান কর্তা তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। সোমবার বিকেলে কর্মসমিতির বৈঠকে যোগই দিলেন না তিনি।
আই লিগের আটটি দল না খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সুপার কাপের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব চিঠি পাঠান ইস্টবেঙ্গলের সভাপতিকে। এর পরেই কর্ম সমিতির সভা ডাকা হয়। আমন্ত্রণ জানানো হয় বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রধান কর্তাকেও। কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টা আগে তাঁর বিবৃতিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আবহ। স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিভাজন। তৈরি হয় বিচ্ছেদের সম্ভাবনাও। তা আরও বাড়ে সোমবার বিকেলের সভায় বিনিয়োগকারী সংস্থার কোনও প্রতিনিধি না থাকায়।
এ দিন বিকেল থেকেই পোস্টার নিয়ে ক্লাব তাঁবুর সামনে জড়ো হন সমর্থকেরা। তাঁদের দাবি, সুপার কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করা চলবে না। আগামী মরসুমে আইএসএলেও খেলতে হবে। বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা। উত্তপ্ত আবহেই শুরু হয় সভা। আইএসএল, সুপার কাপ, চেন্নাই সিটি এফসি বনাম মিনার্ভা এফসি ম্যাচ নিয়ে ফেডারেশনে অভিযোগ না জানানো থেকে জবি জাস্টিনের ক্লাব ছাড়ার প্রসঙ্গ— একাধিক বিষয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। গড়া হয় পাঁচ সদস্যের কমিটি।