Advertisement
E-Paper

আজ জয়পুরেও ছক্কাবৃষ্টির ইঙ্গিত ‘বাহুবলী’ রাসেলের

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অবিশ্বাস্য ইনিংসের পরে কেকেআর শিবিরে আন্দ্রে রাসেলের নামকরণ হল ‘বাহুবলী’। জামাইকান অলরাউন্ডারের এই নামকরণ করে গেলেন শিবম মাভি ও কমলেশ নগরকোটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:১০
উৎসব: শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে অবিশ্বাস্য জয়ের পর কেকেআর নায়ক রাসেল হোটেলে ফিরে কাটলেন কেক। খাইয়ে দিলেন স্ত্রী জেসিম লোরাকে। টুইটার

উৎসব: শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে অবিশ্বাস্য জয়ের পর কেকেআর নায়ক রাসেল হোটেলে ফিরে কাটলেন কেক। খাইয়ে দিলেন স্ত্রী জেসিম লোরাকে। টুইটার

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অবিশ্বাস্য ইনিংসের পরে কেকেআর শিবিরে আন্দ্রে রাসেলের নামকরণ হল ‘বাহুবলী’। জামাইকান অলরাউন্ডারের এই নামকরণ করে গেলেন শিবম মাভি ও কমলেশ নগরকোটি। চোটের জন্য যাঁরা এ বারের আইপিএলের বাইরে। কিন্তু বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব করার সুবাদে চিন্নাস্বামীতে ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন দুই তরুণ পেসার।

দলে না থাকলেও দু’জনকেই এ বারের জার্সি দিয়ে সম্মান জানাল কেকেআর শিবির। কিন্তু তাঁদের সব চেয়ে বড় উপহার দিয়ে গেলেন রাসেল। ম্যাচ শেষে মাভি বলেন, ‘‘এ ধরনের ব্যাটিং আমি আগে কখনও দেখিনি। ও যখন ছয়গুলো মারছিল, আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম।’’ নগরকোটি বলে গেলেন, ‘‘রাসেলই আমাদের সব চেয়ে বড় উপহার দিয়ে গেল এই ইনিংস খেলে।’’

রাত পেরিয়েছে। বেঙ্গালুরু থেকে জয়পুর পৌঁছে গিয়েছে টিম কেকেআর। কিন্তু রাসেল নিয়ে উন্মাদনা যেন শেষ হওয়ার নয়। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রাসেল নামক যে ‘টর্নেডো’ আছড়ে পড়েছিল, জয়পুরের সোয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে তার তেজ একই রকম থাকে কি না সেটাই দেখার।

রাসেল যদিও আত্মবিশ্বাসী। শুক্রবার রাতেই ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁর সাক্ষাৎকার নেন সতীর্থ কার্লোস ব্রাথওয়েট। রাসেলকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘তুমি নামার সময় তো ওভার প্রতি ১৫ রানের উপর প্রয়োজন ছিল। কী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলে?’’ রাসেলের সাফ উত্তর, ‘‘লক্ষ্যটা ছোট করে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। যেমন ৬০ রান করতে হলে দশটি ছয় প্রয়োজন। সেটাই মাথায় ছিল। যত বেশি ছয় মারব, তত জয়ের কাছে পৌঁছে যাব।’’

রবিবারও যে তাঁর পরিকল্পনার কোনও হেরফের হবে না, তা এখনই বলে দেওয়া যায়। পরিস্থিতি যেমনই হোক। সিঙ্গলস খেলার বদলে মাঠের বাইরে বল পাঠাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। নেটেও এ ধরনের পরিস্থিতির জন্যই অনুশীলন করেন। কেকেআর মিডিয়াকে রাসেল বলেছেন, ‘‘জানি ম্যাচে এ ধরনের পরিস্থিতি আসতে পারে। তাই নেটে প্রথম বল থেকে মারতে শুরু করি। ম্যাচেও তার বেশি হেরফের হয় না। আগামী ম্যাচে এই ছন্দই ধরে রাখতে চাই।’’ রাসেলের ব্যাট চলতে শুরু করলে, যে কোনও মাঠই ছোট মনে হয়। কোনও বিশেষ ক্রিকেটার ছাড়া এ ভাবে হয়তো খেলা সম্ভব না। রাসেল নিজেও জানেন তিনি বিশেষ ক্রিকেটার। বলছিলেন, ‘‘আমি বিশেষ ক্রিকেটার হলেও তা নিয়ে বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখানোর প্রয়োজন বোধ করি না। শান্ত থেকে আগামী ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হই। আগের ম্যাচে কী করেছি, তা নিয়ে খুব একটা ভাবি না। প্রত্যেক দিনই নতুন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে থাকে। আগামী ম্যাচেও এ ধরনের পরিস্থিতি আসতে পারে। কিন্তু আমার পরিকল্পনা বদলাবে না। যেমন ছয় মারতে ভালবাসি, তেমনই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’’

অজিঙ্ক রাহানের দলের অফস্পিনার কৃষ্ণাপ্পা গৌতম যদিও জানিয়ে দিয়েছেন, রাসেলের জন্য তাঁদের পরিকল্পনা তৈরি।

Cricket IPL 2019 KKR Kolkata Knight Riders Andre Russell
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy