নায়ক: ম্যাচের সেরা ধওয়নকে কোলে তুলে উচ্ছ্বাস রাবাডার। পিটিআই
গত ছয় বছরে পাল্টে গিয়েছে অনেক কিছু। বদলে গিয়েছে ক্রিকেটারদের মুখ। পরিবর্তন হয়েছে কোচেদের নামেও। তাই-ই নয়। পাল্টে গিয়েছে দলের নামও।
আর যে নতুন ছবিটা রবিবারের ফিরোজ শাহ কোটলায় ধরা পড়ল, তা হল দিল্লি ড্রেসিংরুমের দুর্দান্ত লড়াকু মানসিকতা। যে শক্তিতে ভর করে ছয় বছর পরে আবার আইপিএলের প্লে-অফে খেলার ছাড়পত্র নিশ্চিত করে ফেললেন শ্রেয়স আইয়াররা। বিরাট কোহালিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ১৬ রানে হারানোর পরে যা নিয়ে গর্বিত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘প্রত্যেকটি ম্যাচে আমরা চেষ্টা করেছি শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে। আজ অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছে।’’
শেষ তিন ম্যাচে টানা জয় নিয়ে কোটলায় খেলতে নামা আরসিবিকে নিয়ে কৌতূহল ছিল সকলেরই। কিন্তু ম্যাচে দেখা গেল, দলীয় সংহতিতে দিল্লি প্রত্যেক মুহূর্তে পিছনে ফেলে দিয়েছে আরসিবিকে। যার শুরুটা হয়েছিল শিখর ধওয়নের ৩৭ বলে ৫০ রানের ইনিংসের মধ্যে দিয়ে। মারলেন পাঁচটি বাউন্ডারি এবং দু’টি ছয়। দিনের শেষে যা নিয়ে ম্যাচের সেরা বাঁ হাতি ভারতীয় ওপেনার বলেছেন, ‘‘আমি ক্রিকেট উপভোগ করার মানসিকতা নিয়ে খেলছি। বাকি ম্যাচগুলোতেও এই ছন্দ ধরে রাখতে চাই।’’
শিখর যেখানে থামলেন, সেই জায়গা থেকে নতুন অধ্যায় শুরু হল অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটে। ৩৭ বলে তিনিও খেলে গেলেন ৫২ রানের মূল্যবান ইনিংস। ঋষভ দাঁড়াতে পারলেন না ঠিকই, কিন্তু সেটাও দিল্লি ড্রেসিংরুমে খুব একটা আঁচড় কাটতে পারল না। রাদারফোর্ড (১৩ বলে অপরাজিত ২৮) এবং অক্ষর পটেল (৯ বলে অপরাজিত ১৬) দিল্লিকে পৌঁছে দেয় লড়াই করার জায়গায়।
পাল্টা রান তাড়া করতে নেমে কিন্তু সেই ঝড় ধরা পড়ল না আরসিবি-র তরফে। ১৭ বলে ২৩ রান করে ফিরলেন কোহালি। তার আগে ইশান্তের বল তাঁর ব্যাটে লেগে উইকেটকিপার ঋষভের হাতে জমা পড়ল। আউটের আবেদন উঠল। কোহালি চাইলেন ডিআরএস। দেখা গেল ঋষভের হাতে বল জমা পড়ার আগেই তা মাটিতে পড়েছিল। যা নিয়ে ঋষভের সঙ্গে কথাও বললেন আরসিবি অধিনায়ক। কিন্তু ছবিটা পাল্টাল না কোটলায়। পার্থিব ( ৩৯) এবং এ বি ডিভিলিয়ার্স (১৭) ফেরার পরেই ম্যাচের ছবিটা বদলে গেল। ম্যাচের পরে কোহালি বলে গেলেন, ‘‘দিল্লি ভাল ক্রিকেট খেলে জিতেছে। শুরুটা ভাল হলেও সেটা ধরে রাখতে পারিনি। দুই ম্যাচ নিয়ে ভাবতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy