Advertisement
০৬ মে ২০২৪

দলগত সিদ্ধান্তেই তিনে রাসেল, বলছেন কালিস

মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাঁকে তিন নম্বরে নামানোর সিদ্ধান্ত কার ছিল? কালিসের উত্তর, ‘‘সবাই মিলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ম্যাচের যা পরিস্থিতি ছিল, তাতে মনে হয়েছে রাসেল নামলে স্কোরবোর্ড সচল থাকবে। সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, তা রাসেলই প্রমাণ করে দিয়েছে।’’

 অবসর: সোমবার গল্‌ফে মগ্ন নাইটেদর কোচ কালিস। নিজস্ব চিত্র

অবসর: সোমবার গল্‌ফে মগ্ন নাইটেদর কোচ কালিস। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:২২
Share: Save:

আন্দ্রে রাসেলকে উপরের দিকে নামানোর ফল রবিবারই পেয়েছে নাইট শিবির। যে সিদ্ধান্ত কয়েক দিন আগে নেওয়া হলে হয়তো আরও কয়েকটি ম্যাচ জিততে পারত কেকেআর। রবিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৪০টি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন রাসেল। অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস দলকে উপহার দিয়ে গিয়েছেন জামাইকান তারকা।

মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাঁকে তিন নম্বরে নামানোর সিদ্ধান্ত কার ছিল? কালিসের উত্তর, ‘‘সবাই মিলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ম্যাচের যা পরিস্থিতি ছিল, তাতে মনে হয়েছে রাসেল নামলে স্কোরবোর্ড সচল থাকবে। সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, তা রাসেলই প্রমাণ করে দিয়েছে।’’

সোমবারই ৩১ বছরে পা দিলেন রাসেল। সেই উপলক্ষে রবিবার ম্যাচের পরেই ড্রেসিংরুমে কেক কাটা হয়। রাসেলের মুখ ও মাথায় কেক মাখিয়ে দেন কেকেআর মালিক শাহরুখ খান। যে ভিডিয়ো মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে। এমনকি জন্মদিনের পার্টিতে হিন্দি গানের সঙ্গে গলা মেলান রাসেল। তাঁর মুখে শোনা যায়, ‘সুভা হোনে না দে। শাম খোনে না দে।’’ এখানেই শেষ নয়, গানের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় নাইটদের ‘বাহুবলী’-কে।

ম্যাচ শেষে আইপিএলের ওয়েবসাইটে রাসেলের সাক্ষাৎকার নেন তাঁর স্ত্রী জাসিম লোরা। রাসেলকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘তুমি কি মনে করো, তোমার সুন্দরী স্ত্রী তোমার সৌভাগ্যের প্রতীক?’’ রাসেলের উত্তর, ‘‘অবশ্যই। তুমিই আমার লাকি চার্ম।’’ তাঁর দ্বিতীয় প্রশ্ন, ‘‘ইডেনে আজ তোমার মরসুমের শেষ ম্যাচ ছিল। অনুভূতিটা কী রকম?’’ রাসেলের উত্তর, ‘‘খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। চেয়েছিলাম শেষ ম্যাচে সেরাটা দিতে। তা করতে পেরে ভাল লাগছে।’’ এ বার স্ত্রীকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাসেল। বলেন, ‘‘আমি যখন একের পর এক ছক্কা মারছিলাম, তখন তুমি কী করছিলে?’’ স্ত্রীর উত্তর, ‘‘আমার হৃদপিণ্ড যেন হাতে চলে এসেছিল। প্রচণ্ড স্নায়ুর চাপে ভুগেছি।’’ রাসেলের প্রশ্ন, ‘‘তা হলে এখন হৃদপিণ্ডটি ঠিক জায়গায় রয়েছে তো?’’ জাসিম বলেন, ‘‘অবশ্যই। এখন স্বস্তিবোধ করছি।’’

রাসেলের একের পর এক বিধ্বংসী ইনিংস দেখে তাঁর ভক্তেরা নাম দিয়েছেন ‘সুপারহিরো’। নতুন নাম পেয়ে খুশি রাসেল। জামাইকার অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘ভক্তেরা যদি মনে করে আমি সুপারহিরো, তা হলে আমার কোনও অসুবিধা নেই। বরাবরই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি। সেটাই করে যাব।’’

তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের রহস্য কী? রাসেলের উত্তর, ‘‘ব্যাটের গতি, হাত ও চোখের বোঝাপড়া এবং সঠিক ভারসাম্য। এগুলো না থাকলে পাওয়ারহিটিং সম্ভব নয়। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ফিটনেস। ফিট না থাকলে কোনও শটই ঠিক মতো নেওয়া যাবে না।’’ রাসেল আরও জানিয়েছেন, অ্যাভেঞ্জার্সের তিনি বড় ভক্ত। তাই সময় নষ্ট না করে সোমবারই ‘অ্যাভেঞ্জার্স এন্ড গেম’ সিনেমা দেখে আসেন রাসেল।

সন্ধ্যায় টিম হোটেলে বিশেষ বৈঠক হয় নাইটদের। যেখানে সফল ক্রিকেটারদের বলা হয় বাকি ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতে। সেখানে ‘সুপারহিরো’ রাসেল থেকে লিন, শুভমন গিল দীনেশ কার্তিক, নীতীশ রানারা বক্তব্য রাখেন। শেষ দু’ম্যাচ খেলতে উড়ে যাওয়ার আগে দলকে চাঙ্গা রাখার জন্য এই উদ্যোগ নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কেকেআরের শেষ দুই ম্যাচ শুক্রবার (পঞ্জাব) এবং রবিবার (মুম্বই ইন্ডিায়ান্স)। এ দিনই সল্টলেকের এক রিসর্টে রাসেলের জন্মদিনের পার্টি হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE