বাদশা: ম্যাচ হারলেও সৌজন্য হারালেন না শাহরুখ। ফাইল চিত্র
হারকে জিতনে ওয়ালো কো বাজিগর ক্যাহতে হ্যায়।
ইডেনে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে না থেকেও তিনি জিতে নিলেন সবার হৃদয়। যা মনে পড়িয়ে দিচ্ছিল তাঁর সেই বিখ্যাত সংলাপ।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে শাহরুখ খানের দল জিততে পারেনি। তবে ম্যাচের পরে নাইট রাইডার্সের মালিক টুইট করতে ভোলেননি। অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও। তাঁর টুইট, ‘‘শুভমন এবং রাসেল আবারও দারুণ খেলল। দল এক দিন হারতেই পারে, তবে আজ আমাদের খেলায় সেই প্রাণটা ছিল না। বিশেষ করে বোলিংয়ে। এটা দুঃখের। তবে এই ম্যাচটায় একমাত্র ইতিবাচক দিক হল ইডেনে আমাদের দাদার জয় হল। অভিনন্দন দিল্লি ক্যাপিটালস।’’
শুক্রবারের ম্যাচের আগের দিন নেটের পিছনে দাঁড়িয়ে শিখর ধওয়নকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘‘ফিল্ডিংয়ে ফাঁক বার কর।’’ সেই ধওয়নই শুক্রবার ইডেনে ৬৩ বলে অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংস খেলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হারের কারণ হয়ে দাঁড়ালেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে ছেলে জ়োরাভার এসে তাঁর কোলে উঠে পড়ল। ছোট্ট ছেলের হাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার তুলে দিলেন ধওয়ন।
ভারতীয় ওপেনারের ইনিংসে মুগ্ধ দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে এসে বলেন, ‘‘একেবারে নিজের চেনা ছন্দে খেলে গেল শিখর। ওর এটাই স্বাভাবিক ক্রিকেট। সেট হওয়ার পরে যে ভাবে খেলা উচিত, ও সে ভাবেই খেলেছে। ও মরিয়া হয়ে ব্যাট করেছে, তার ফল পেয়েছে।’’
ঋষভ পন্থের ব্যাটিং নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছিলেন কোচ রিকি পন্টিং, তার ঠিক বিপরীত ইনিংস খেলে গেলেন ঋষভ পন্থ। ৩১ বলে ৪৬ রান করে গেলেন পন্থ। তরুণ উইকেটকিপারের ইনিংস দেখে সৌরভের মত, ‘‘অসাধারণ প্রতিভা। ওকে আমরা চার নম্বরে নামিয়েছিলাম যাতে ব্যাটিং করার বেশি সময় পায়।’’
দিল্লির বিরুদ্ধে আন্দ্রে রাসেল রান পেলেও মোক্ষম সময় আউট হয়ে গিয়েছেন। রাসেলের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা ছিল? উপদেষ্টার উত্তর, ‘‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যেন একটা বল ও মিসটাইম করে। এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই।’’
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ ওভারে মাঠে ঢুকে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। যার পরে ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা গিয়েছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের। ধোনিকে এই রূপ দেখে সৌরভ অবশ্য অবাক হননি। তিনি বলেন, ‘‘ক্রিকেটারেরও তো মানুষ। আবেগের বহিঃপ্রকাশ। তবে ধোনির এই প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব আমার পছন্দ হয়েছে।’’
এ দিকে, তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও ম্যাচের সেরা ধওয়ন বললেন, ‘‘জানতাম প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল সামনে। তবে দলের জয়টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই শেষের দিকে বড় শট মারার থেকেও খুচরো রান নেওয়ার দিকে বেশি জোর দিয়েছিলাম।’’ দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে কি পরিকল্পনা ছিল দিল্লি দলের? ‘‘প্রথম দু’উইকেট পড়ার পরে আমরা আলোচনা করছিলাম যে ক্রিজে টিকে থাকতে হবে। ঋষভের হাতেও বড় শট রয়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করে গিয়েছে যতটা সম্ভব ধৈর্য ধরে ব্যাট করে যাওয়ার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy