Advertisement
E-Paper

গিলের অপরাজিত ৭০, হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্রথম জয় কলকাতার

কলকাতার বোলারদের দাপটে দেড়শো রানও করতে পারেনি হায়দরাবাদ। ১৮ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় নাইটরা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:৪৫
জয়ের জুটি। গিল ও মর্গ্যানের ব্যাট কলকাতাকে এনে দিল প্রথম জয়।

জয়ের জুটি। গিল ও মর্গ্যানের ব্যাট কলকাতাকে এনে দিল প্রথম জয়।

আইপিএলের শুরুটা একদমই ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রথম ম্যাচে রোহিত-রোশনাইয়ে ম্যাচ হারতে হয় দীনেশ কার্তিকের দলকে। দল হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে ব্যর্থ হয় কলকাতা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়াল কলকাতা। শনিবার ১২ বল বাকি থাকতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে সাত উইকেটে হারাল শাহরুখ খানের দল।

শনিবার আবু ধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার। ২০ ওভারে হায়দরাবাদ করেছিল ১৪২ রান। এই রানের পুঁজি সম্বল করে টি টোয়েন্টি ম্যাচ জেতা কঠিন। প্রথম থেকে যদি বিপক্ষের উইকেট তোলা যায়, তা হলেই এই ধরনের ম্যাচ জেতা সম্ভব। রান তাড়া করতে নেমে খলিল আহমেদের ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হন সুনীল নারিন। খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ইনিংসের শুরুতেই ওভাবে শূন্যে খেলার দরকারই ছিল না নারিনের। কলকাতার রান তখন মাত্র ৬। দলকে বিপদে ফেলে ডাগ আউটে ফেরেন অভিজ্ঞ নারিন।

বাঁ হাতি নটরাজনের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ২৬ রানে আউট হন রাণা। অন্যদিকে রশিদ খান বল করতে এসেই তুলে নেন দীনেশ কার্তিককে। হঠাৎ চাপ অনুভব করতে শুরু করে কলকাতা। ঠিক এই সময়ে শুভমন গিল পরিণতিবোধের পরিচয় দেন। ইয়ইন মর্গ্যানের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন।

বিপজ্জনক শট খেলার রাস্তায় হাঁটেননি গিল। জানতেন হায়দরাবাদের রান কম, ফোকাস ঠিক রাখতে পারলে ম্যাচ বের করে নেওয়া সম্ভব। সেটাই করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন শুভমন গিল। মর্গ্যানও ৪২ রানে অপরাজিত থেকে যান। দুই নাইট ব্যাটসম্যান ৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তাতেই হায়দরাবাদের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: নিন্দুকদের জবাব দিলেন কামিন্স, প্রশংসায় যুবরাজ

ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন গিল। অন্য দিকে বল হাতে দুরন্ত প্যাট কামিন্স। অজি পেসার এ দিন ধরা দেন নিজের পরিচিত ছন্দে। তাঁর দাপটে ভয়ঙ্কর হতে পারেননি হায়দরাবাদের বিপজ্জনক দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো।কামিন্স বারবার ঝামেলায় ফেলেন তাঁদের। ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো শুরু থেকে রুদ্র মূর্তি ধরতে না পারায় হায়দরাবাদও রানের গতি বাড়াতে পারেনি। বেয়ারস্টোকে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কামিন্স। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন তিনি।

কলকাতার মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী প্রথম একাদশে জায়গা পেয়ে নজর কাড়েন। বিপজ্জনক ওয়ার্নারকে ৩০ বলে ৩৬ রানে আউট করেন বরুণ। ক্যারম বলের গ্রিপে বলটা করেছিলেন তিনি। অভিজ্ঞ ওয়ার্নার সেই ধাঁধা বুঝতে না পেরে আগেই ব্যাট চালিয়ে দেন। সময়ের গোলমালে বরুণের হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মারকুটে ওয়ার্নার।

অন্যান্য দলগুলোর মিডল অর্ডারে মারকুটে ব্যাটসম্যান রয়েছে। হায়দরাবাদে নেই সেই ধরনের কেউ। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরে মণীশ পাণ্ডে ও ঋদ্ধিমান সাহা ইনিংস গোছানোর কাজ করেন। রাসেলের ফুলটসে আউট হন মণীশ পাণ্ডে। তার আগে ৩৮ বলে ৫১ রান করে যান তিনি। ঋদ্ধির সঙ্গে ৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মণীশ।শেষের দিকে রানের গতি বাড়াতে পারেননি ঋদ্ধিমানও (৩০)। সাত জন বোলারকে এ দিন ব্যবহার করেন কার্তিক।নাইট বোলারদের দাপটে দেড়শোর থেকে আট রান দূরে থেমে যায় হায়দরাবাদ।

এই রান তাড়া করে জেতা খুব একটা কঠিন ব্যাপার ছিল না। শুরুর দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে নিজেদের উপরে চাপ বাড়িয়ে ফেললেও তরুণ শুভমন গিল ও অভিজ্ঞ মর্গ্যানের ব্যাটে ভর করে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল কলকাতা।

IPL 2020 SRH KKR
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy