২০১০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথম বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেন লুইস। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এই বিধ্বংসী বাঁ হাতি ক্রিকেটার প্রথম পরিচিতি পান ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০-তে। দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া এই প্রতিয়োগিতায় ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর হয়ে পাঁচ ম্যাচে ২১১ রান করেন।
লুইসের ব্যাটেই চেন্নাইকে হারায় লখনউ ছবি: টুইটার
লখনউ সমর্থকরা ভেবেছিলেন খেলা হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। চেন্নাই সমর্থকরা উল্লাস করছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি এভিন লুইস। তিনি জানতেন, কয়েকটা বল ঠিক মতো খেলতে পারলেই ছবিটা বদলে যাবে। ঠিক সেটাই হল। ১৯তম ওভারে শিবম দুবেকে দু’টি চার ও একটি ছক্কা মেরে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন। শেষ পর্যন্ত তিন বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এই লুইস কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন পরিবর্ত হিসাবে। বিধ্বংসী ব্যাটিং দিয়ে জায়গা পাকা করেন তিনি।
২০১০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথম বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেন লুইস। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এই বিধ্বংসী বাঁ হাতি ক্রিকেটার প্রথম পরিচিতি পান ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০-তে। দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া এই প্রতিয়োগিতায় ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর হয়ে পাঁচ ম্যাচে ২১১ রান করেন। তার পরেও অবশ্য জাতীয় দলে সুযোগ পেতে তাঁকে আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে সুযোগ পাওয়া সহজ ছিল না। বিশেষ করে ছোট ফরম্যাটে একটি জায়গার জন্য একাধিক ক্রিকেটার ছিল। ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপের আগে চোট পান অভিজ্ঞ লেন্ডল সিমন্স। তাঁর জায়গায় দলে ডাকা হয় লুইসকে। যদিও বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হয়নি। সেই বছরই নাগপুরে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি২০-তে অভিষেক হয় তাঁর। পরের ম্যাচেই আমেরিকাতে ভারতের বিরুদ্ধে শতরান করেন লুইস। দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে ৪৮ বলে ১০০ করে ক্রিকেট বিশ্বকে নিজের আগমন বার্তা জানান। সেই বছরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটেও অভিষেক হয় তাঁর।
ক্রিস গেলকে নিজের গুরু বলেন লুইস। গেলের খেলা দেখেই নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। দু’জনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বহু ম্যাচে এক সঙ্গে ওপেন করেছেন। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সেন্ট কিটস ও নেভিস প্যাট্রিয়টসের হয়ে এক সঙ্গে খেলেছেন তাঁরা। শারীরিক গঠনের দিক থেকে মিল কম থাকলেও দু’জনের খেলার ধরন অনেকটা একই রকম। বড় শট খেলতে পছন্দ করেন। বিপক্ষকে আক্রমণ করে প্রথমেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।
গোটা বিশ্বে টি২০ লিগে খেলেন লুইস। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, গ্লোবাল টি২০ লিগ খেলার পাশাপাশি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে প্রথম খেলার সুযোগ পান তিনি। পরে রাজস্থান রয়্যালস হয়ে এ বার লখনউ সুপার জায়ান্টসের সদস্য। আর দ্বিতীয় ম্যাচেই তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন কেন তাঁকে কিনেছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল।
এখনও পর্যন্ত ৫৭টি এক দিনের ম্যাচে ১৮৪৭ রান করেছেন লুইস। সর্বোচ্চ ১৭৬। আন্তর্জাতিক টি২০-তে ৫০ ম্যাচে ১৪২৩ রান রয়েছে লুইসের। বিশ্বের তিন ব্যাটারের মধ্যে লুইস এক জন যাঁর টি২০-তে দু’টি শতরান রয়েছে। আইপিএলে ২০১৮ সাল থেকে খেললেও মাত্র ২৩টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। করেছেন ৬৪৬ রান। সর্বোচ্চ ৬৫। তবে এ বার প্রথম থেকেই লখনউকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তিনি। গেলের ছাত্রের হাত ধরে ট্রফি জয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছেন লোকেশ রাহুলরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy