কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শেষ বার ফাইনালে তোলার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। চলতি মরসুমেও দু’ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে দুরন্ত শুরু করেছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলীয় পেসার প্যাট কামিন্স চলে আসায় প্রথম একাদশে জায়গা হচ্ছে না তাঁর। তিনি— টিম সাউদি। নিউজ়িল্যান্ডের অভিজ্ঞ. তারকা পেসার মানছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাই একটি দলের চরিত্র নির্ধারণ করে দেয়। নাইট শিবিরে কামিন্সের সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। দলের স্বার্থে যাঁকে প্রয়োজন, তাঁকে খেলানোর পক্ষেই রায় দিয়েছেন সাউদি।
বুধবার আনন্দবাজারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সাউদি জানিয়েছেন, কামিন্স প্রমাণ করেছেন কেন তিনি প্রথম একাদশে থাকার যোগ্য। বলেন, ‘‘ভাল দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই। তবে আমি এখন প্রথম এগারোয় জায়গা পাচ্ছি না বলে যে কখনওই পাব না, সেটা মনে করা ভুল। প্রতিযোগিতা অনেক বড়। যে কোনও ক্রিকেটারের চোট লেগে যেতে পারে। সেই মুহূর্তের জন্য তৈরি থাকতে হবে। নিজেকে ম্যাচের জন্য তৈরি করে রাখছি। যাতে সুযোগ এলে কোনও সমস্যা না হয়। তা ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা ব্যাপারটাকে আমি ভাল নজরেই দেখি। এটাই একটা ভাল দলের চরিত্র নির্ধারণ করে দেয়।’’ যোগ করেছেন, ‘‘কামিন্স কেন প্রথম একাদশে খেলছে, সেটা প্রমাণ করেছে ও নিজেই। বল হাতে ওর অবদানের কথা না-ই বা বললাম। ব্যাট হাতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ১৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পরে যে কোনও দল আমার চেয়ে ওকে আগে খেলাবে।’’
গত বছর থেকেই কেকেআর সংসারের সদস্য সাউদি। চোখের সামনে দেখেছেন, হারতে থাকা নাইটরা কী ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন। এ বার দলে পরিবর্তন হয়েছে। শেষ মরসু্মের কয়েক জন তো রয়েইছেন, সেই সঙ্গে নতুন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের আগমন ঘটেছে। সাউদি মনে করেন, শ্রেয়সের নেতৃত্বে নাইটরা আগের চেয়েও অনেক বেশি ক্ষুধার্ত। বলছিলেন, ‘‘কেকেআর যে ধরনের ক্রিকেট খেলে, তা এক কথায় আগ্রাসী। গত বছরের অনেকেই এই দলে রয়েছে। শেষ বার দ্বিতীয় দফায় ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু জিততে পারিনি। এ বার সেই জয়টাও ছিনিয়ে নিতে পারব বলে আশা রাখি। শ্রেয়স খুব ভাল অধিনায়ক। ওর নেতৃত্বে ছেলেরা আগের চেয়েও বেশি চাঙ্গা রয়েছে। তৃতীয় বারের মতো কাপ তোলার স্বপ্ন দেখাই যেতে পারে।’’