কলকাতা নাইট রাইডার্সের দল। —ফাইল চিত্র।
লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারানোর এক দিনের ব্যবধানেই আবার মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেনসে শ্রেয়স আয়ারদের প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস। অর্থাৎ, এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ‘ফার্স্ট বয়’দের বিরুদ্ধে পরীক্ষা দিতে হবে আপাতত ‘সেকেন্ড বয়’দের।
এক দিনের ব্যবধানে ম্যাচ। ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে সোমবার অনুশীলন ছিল না কেকেআরের। টানা ম্যাচের ধকল সামলাতে অনুশীলনের থেকে বিশ্রামকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, গৌতম গম্ভীরেরা। কলকাতার গরমে এই বিষয়টা যথেষ্ট ভাবাচ্ছে কেকেআর শিবিরকে। লখনউয়ের বিরুদ্ধে দাপুটে জয়ের পর কেকেআরের প্রথম একাদশের নিউক্লিয়াস ঠিক রেখে কৌশলগত পরিবর্তন হতে পারে। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ইডেনের ২২ গজে মিচেল স্টার্কের ফর্মে ফেরা স্বস্তি দেবে কেকেআরকে। স্বস্তি দেবে লখনউয়ের বিরুদ্ধে ফিল সল্টের অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসও। আবার বেঙ্কটেশ আয়ারের রান পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ থাকতে পারে। অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের ফর্মও চিন্তায় রাখছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দাবি মেনে দ্রুত রান তুলতে পারছেন না শ্রেয়স। ধরে খেলছেন কিছুটা। তাতে দলের ১৫-২০ রান কম হচ্ছে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে যা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
গম্ভীরেরা জয় ছাড়া ভাবছেন না। রাজস্থানকে হারাতে পারলে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে আসবে কলকাতা। সে ক্ষেত্রে দু’দলেরই পয়েন্ট হবে ১০। নেট রান রেট ভাল থাকায় এবং একটি ম্যাচ কম খেলায় শীর্ষে উঠে আসবে কলকাতা। পয়েন্ট তালিকায় উপরে থাকা দলকে হারাতে পারলে লিগ ফরম্যাটে সব সময়ই সুবিধা নীচে থাকা দলের। ইডেনের দর্শকদের সামনে সুযোগ কাজে লাগাতে চান গম্ভীরেরা।
রাজস্থান রয়্যালসে সঞ্জু স্যামসন, জস বাটলার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যশস্বী জয়সওয়াল, রিয়ান পরাগ, যুজবেন্দ্র চহাল, ধ্রুব জুরেল, শিমরন হেটমেয়ার, ট্রেন্ট বোল্ট, রভম্যান পাওয়েলের মতো ক্রিকেটারেরা আছেন। যশস্বী ছাড়া বাকি সবাই রয়েছেন চেনা ফর্মে। ইডেনে যশস্বীও রান পেয়ে গেলে রাজস্থান নিশ্চিত ভাবে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। বাটলার, রিয়ান, হেটমেয়ার, বোল্ট, চহালেরা একাই ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। রাজস্থান দলের ভারসাম্যও বেশ ভাল। সঞ্জুরাও চাইবেন ইডেনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে। কেকেআরকে বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেন না তাঁরা। এমন শক্তিশালী দলকে হালকা ভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। কেকেআর শিবিরও মঙ্গলবারের প্রতিপক্ষ এবং ম্যাচকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে।
গম্ভীর মেন্টর হয়ে আসায় কেকেআর শিবির এ বার অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। শ্রেয়সদের খেলায় আগ্রাসন আছে। আবার নিয়ন্ত্রণও আছে। টানা ম্যাচ খেলার ধকল আছে। সেই ধকল সামলেই ‘ফার্স্ট বয়’দের বিরুদ্ধে ২ পয়েন্ট পেতে মরিয়া ‘সেকেন্ড বয়’রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy