বিরাট কোহলি। ছবি: বিসিসিআই।
বিরাট কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলছিলেন সমালোচকেরা। অনেকে এক ধাপ এগিয়ে বলছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। সেই সব সমালোচকদের একহাত নিলেন বিরাট। প্রথমে জবাব দিলেন ব্যাটে। তার পর মুখও খুললেন স্ট্রাইক রেট নিয়ে। সমালোচকদের সপাটে মাঠের বাইরে ফেললেন বিরাট। বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর ১৫ বছরের কেরিয়ারে বহু সমালোচনা সামলেছেন। এখন আর এ সবে কান দেন না।
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ২০১ রানের লক্ষ্য ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ৪ ওভার বাকি থাকতে সেই রান তুলে নিল তারা। উইল জ্যাকস ৪১ বলে ১০০ রান করেন। আর বিরাট কোহলি ৪৪ বলে ৭০ রান করেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৫৯.০৯। ব্যাট হাতে বোলারদের শাসন করছিলেন বিরাট। সেই ইনিংস খেলার পরেই তাঁকে দেখা যায় মাইক হাতে সমালোচকদের জবাব দিতে। বলেন, “আমার সম্পর্কে অনেকে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে আমি দ্রুত রান করতে পারি না। কেউ বলে স্পিনের বিরুদ্ধে খেলতে পারি না। ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। আমি এখন এই সব কথায় আর কান দিই না। নিজের কাজটা করে যাই। নিজেদের সম্মান আছে। সেটা বজায় রেখে খেলতে চাই। সমর্থকদের জন্য খেলতে চাই।” সমালোচকদের এই কথা বলার সময় বিরাটকে বক্সের দিকে ইঙ্গিত করতেও দেখা যায়।
এ বারের আইপিএলে বেঙ্গালুরুর শুরুটা ভাল হয়নি। লিগ তালিকায় সবার শেষে রয়েছে তারা। ১০টি ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে হেরে গিয়েছেন বিরাটেরা। মূলত বোলারদের ব্যর্থতাতেই হারতে হয়েছে। বিরাট নিজে প্রতি ম্যাচেই রান করছেন। কমলা টুপির মালিক এখন তিনিই। ১০ ম্যাচে ৫০০ রান করে ফেলেছেন। প্লে-অফে ওঠার আশা প্রায় নেই। হাতে আর চারটি ম্যাচ রয়েছে। বড় রান করতে পারলে হয়তো ১৪ ম্যাচ খেলেই কমলা টুপির মালিক থেকে যাবেন। যদিও বিরাট নিজের জন্য খেলার কথা বলেন না। তিনি বলেন, “নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী এ বারে দল খেলতে পারেনি। সেটা আমরা জানি। আরও ভাল করতে পারতাম আমরা। সেটার চেষ্টাই করব আমরা আগামী ম্যাচগুলিতে।”
জ্যাকসের প্রশংসা করেন বিরাট। তিনি বলেন, “দুর্দান্ত ইনিংস। প্রথম দিকে বল ঠিক মতো ওর ব্যাটে লাগছিল না বলে রেগে যাচ্ছিল। আমি ওকে বার বার শান্ত হতে বলি। আমরা জানি জ্যাকস কতটা ধ্বংসাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারে। সেটাই দেখা গেল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy