পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৭৪-৪ তুলল বেঙ্গালুরু। আশা জাগিয়েও বড় রান হল না। ফাফ ডুপ্লেসি এবং বিরাট কোহলি দু’জনেই অর্ধশতরান করলেন। শতরানের জুটিও হল। কিন্তু শেষ দিকে রান তোলার গতি অনেকটাই কমে যায়। তাই দুশোর আশা জাগিয়েও ওঠেনি।
টসের সময় বিরাট কোহলি জানিয়েছিলেন, নিয়মিত অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসির হালকা চোট রয়েছে। তাই তিনি ফিল্ডিং করতে পারবেন। সে কারণে এই ম্যাচে তাঁকে অন্তর্বর্তিকালীন অধিনায়ক হতে হয়েছে। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে মনে হল না আদৌ ডুপ্লেসির কোনও চোট রয়েছে। এতটাই সাবলীল ভাবে ব্যাট করলেন তিনি।
প্রথম থেকেই পঞ্জাবের বোলারদের আক্রমণ করতে শুরু করলেন দুই ব্যাটার। দীর্ঘ দিন বাদে অধিনায়কত্ব পেয়ে কোহলি যেমন সাবলীল, তেমনই ‘চোট’ নিয়ে খেলা ডুপ্লেসিও। একমাত্র স্যাম কারেন বাদে পঞ্জাবের কোনও বোলারকেই রেয়াত করলেন না এই দু’জন। কোহলির ব্যাট থেকে দুর্দান্ত কভার ড্রাইভ দেখা গেল। তবে পিচ একটু ধীর গতির থাকার কারণে আগের ম্যাচের অত বেশি হাত খুলে খেলতে দেখা যায়নি। তবে প্রত্যেক ওভারে রান তোলার গতি ভালই ছিল।
আইপিএলে করতে নেমে শতরানের জুটি গড়ার ব্যাপারে কোহলির কোনও জুড়ি নেই। অতীতে ক্রিস গেলের সঙ্গে অন্তত চার বার এই কাজ করেছেন। ডুপ্লেসির সঙ্গে এই নিয়ে তিনটি শতরানের জুটি হয়ে গেল। দেবদত্ত পাড়িক্কল এবং তিলকরত্নে দিলশানের সঙ্গে দু’টি করে রয়েছে।
১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে ডুপ্লেসির সহজতম ক্যাচ মিস্ করেন পঞ্জাব উইকেটকিপার জিতেশ শর্মা। তখন ৬৮ রানে ব্যাট করছিলেন ডুপ্লেসি। প্রোটিয়া ব্যাটার আউট হলেন কয়েক ওভার পরেই। তত ক্ষণে তাঁর নামের পাশে আরও ১৬ রান জুড়ে গিয়েছে।
বেঙ্গালুরুর জোড়া ধাক্কা দেন হরপ্রীত ব্রার। ১৭তম ওভারে বল করতে এসে ফেরান কোহলিকে। প্যাডল সুইপ করতে গিয়েছিলেন কোহলি। ব্যাটের কানায় লেগে বল লেগ সাইডের দিকে যাচ্ছিল। বাঁ দিকে কিছুটা ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরে নেন জিতেশ। পরের বলেই আউট গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। প্রথম বলেই কোনও অজ্ঞাত কারণে বল আকাশে ওড়াতে গেলেন ক্যাচ ধরলেন অথর্ব তাইড়ে। পরে ডুপ্লেসি আউট হতেই বোঝা যায় বেঙ্গালুরুর রান বেশি হবে না।