ভরসা: নাইটদের বড় অস্ত্র নেথান কুল্টার নাইল। নিজস্ব চিত্র
সোমবারের ম্যাচের পরে বলা যায়, রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট টিমটা ছন্দ ফিরে পেয়েছে। প্রতিটা ম্যাচে ওরা উন্নতি করছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো ফর্মে থাকা টিমের বিরুদ্ধে খেলতে গেলে যেটার খুব প্রয়োজন। এই আইপিএলে গৌতম গম্ভীরদের ম্যাচ জিততে বিশেষ গা ঘামাতে হয়নি। কিন্তু পুণে টিমে এমন সব প্লেয়ার আছে যারা নাইটদের শান্তি নষ্ট করতে পারে।
আগের দিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নার দেখিয়ে দিয়েছে কী ভাবে নাইট বোলারদের শাসন করতে হয়। ওয়ার্নারের ‘হয় মারো নয় মরো’ স্ট্র্যাটেজি নাইট স্পিনারদের ভোঁতা বানিয়ে দিয়েছিল। যার প্রভাব নাইটদের ব্যাটিংয়েও পড়েছিল। ওদের ওপেনাররা শুরু থেকে চাপে পড়ে গিয়েছিল, বাড়তে থাকা রান রেটের চাপে মিডল অর্ডারও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: যুবরাজ রান পেলেও জেতা হল না দলের
কেকেআর-কে হারাতে গেলে প্রথাগত ছকে খেলতে নামলে চলবে না। তার বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে। পুণেকে এমন ব্যাটসম্যানদের তুলে আনতে হবে যারা কোনও দ্বিধা না করেই রিভার্স সুইপ বা সুইচ হিট মারবে। দেখা গিয়েছে, দলের বোলারদের জন্য আক্রমণাত্মক ফিল্ড প্লেসিং করে গম্ভীর। এমনকী ওয়ার্নার যখন মারছিল, তখনও মাঝে মাঝে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজাচ্ছিল নাইট অধিনায়ক। এও দেখা গিয়েছে বাউন্ডারি লাইনে সুইপারও রাখেনি। পুণেকে কিন্তু আগুনের সঙ্গে আগুন দিয়েই লড়তে হবে।
এমন নয় যে সেই কাজটা এই মরসুমে করেনি স্টিভ স্মিথের দল। এই আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো টিমকে দু’বার হারিয়েছে ওরা। কিন্তু ইডেনে কেকেআর আরও বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে পুণের কাছে। ওই যে বললাম, ‘হয় মারো, নয় মরো’-ই বুধবার মন্ত্র হওয়া উচিত পুণে শিবিরের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy