গর্বিত: অর্জুনকে মুম্বই জার্সিতে মাঠে দেখে খুশি সচিন। ফাইল চিত্র
অর্জুন তেন্ডুলকর যখন বল হাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে দৌড় শুরু করেছিলেন, ডাগ আউটে ছিলেন না সচিন তেন্ডুলকর। কিংবদন্তি প্রাক্তন ক্রিকেটার চলে গিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ানসের ড্রেসিংরুমে। সচিন চাননি, তাঁকে দেখতে পেয়ে চাপে পড়ে যান পুত্র অর্জুন।
ম্যাচের পরে সচিন বলেছেন, ‘‘এটা আমার কাছে একটা নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে আমি মাঠে গিয়ে অর্জুনের খেলা দেখিনি। আমি চেয়েছিলাম, ও যেন নিজেকে স্বাধীন ভাবে মেলে ধরতে পারে। যা মন চাইবে, তা করতে পারে।’’
কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব নতুন বল তুলে দেন অর্জুনের হাতে। দু’ওভার বল করার সুযোগ পেয়ে ১৭ রান দিয়েছিলেন বাঁ-হাতি পেসার অর্জুন। কোনও উইকেট পাননি। ম্যাচের পরে অর্জুন নিজে আইপিএলের ওয়েবসাইটে বলেছেন, ‘‘অভিষেকটা দারুণ একটা মুহূর্ত ছিল। ২০০৮ সাল থেকে এই দলটাকে আমি সমর্থন করে এসেছি। সেই মুম্বই ইন্ডিয়ানসের হয়ে প্রথম আইপিএল ম্যাচ খেলাটা দারুণ অভিজ্ঞতা। তার উপরে আমার হাতে টুপি তুলে দিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ানস এবং ভারতের অধিনায়ক।’’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোহিত শর্মার অভিষেকের সময় তাঁর হাতে ভারতীয় টুপি তুলে দিয়েছিলেন সচিন। এ বার রোহিত মুম্বই ইন্ডিয়ানসের টুপি তুলে দিলেন সচিন পুত্রের হাতে।
কলকাতা যখন ব্যাট করছিল, সচিন চলে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের ড্রেসিংরুমে। যা নিয়ে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘‘মুম্বই যখন ফিল্ডিং করছিল, আমি ড্রেসিংরুমে চলে গিয়েছিলাম। আমি চাইনি, মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনের দিকে হঠাৎ তাকিয়ে অর্জুন আমাকে দেখতে পায় আর নিজের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে।’’
মুম্বই ইন্ডিয়ানসের সঙ্গে ১৬ বছর ধরে জড়িয়ে সচিন। প্রথম ছ’বছর ছিলেন ক্রিকেটার। পরের ১০ বছর মেন্টর হয়ে। সচিনের কথায়, ‘‘অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। ২০০৮ সালে আমি এই দলে ক্রিকেটার হিসেবে খেলি। আর ১৬ বছর পরে আমার ছেলে একই দলের হয়ে খেলল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy