অধিনায়কোচিত: অপরাজিত থেকে জেতালেন গম্ভীর। ছবি: সুমন বল্লভ।
আশায় ছিলেন, ইডেনে তাঁর পছন্দের উইকেট পাবেন। যেমন পেয়েছিলেন নভেম্বরে টেস্টের সময়। এসে দেখলেন, সত্যিই তেমনই বাইশ গজের মঞ্চ তৈরি। যেখানে নেমে জীবনের সেরা আইপিএলেরই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন উমেশ যাদব।
দু’সপ্তাহ বিশ্রামের পরে আইপিএল দশের প্রথম ম্যাচে নেমে চার উইকেট। চারটে স্পেলে উমেশকে দিয়ে চার ওভার করিয়ে যে ফল পেলেন গৌতম গম্ভীর, তাতে দলের পেস আক্রমণ নিয়ে তাঁর বোধহয় আর তেমন কোনও দুশ্চিন্তা রইল না।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের শেষে ইডেন-উইকেট নিয়ে ভারতীয় ফাস্ট বোলার বলেন, ‘‘বেশ ভাল উইকেট। ক্যারি-বাউন্স আছে। যে কোনও পেসারের কাছে লোভনীয় উইকেট। বেশ প্রাণবন্ত। বল ব্যাটে আসেও ভাল। তাই ব্যাট ও বলের ভাল লড়াই হয় এই ধরণের উইকেটে। সব জায়গায় এত ভাল পিচ পাওয়া যায় না। আশা করেছিলাম এখানে পাব। পেয়ে ভালই লাগছে। আশা করি, পরের ম্যাচগুলোতেও এ রকমই ভাল বোলিং করব।’’
এমন উইকেটেও প্রথম তিন ওভারে ১-২২ করার পর শেষ ওভারের প্রথম দু’বলে যখন একটা চার ও একটা ছয় খেয়ে যান, মনে হচ্ছিল দিনটা খারাপই যাবে তাঁর। অল্পের জন্য হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট হলেও তিন-তিনটে উইকেট ফেলে দেন পরের চার বলে। মার খাওয়ায় রক্ত গরম হয়ে গিয়েছিল কি না, জিজ্ঞেস করায়, উমেশ বলেন, ‘‘ঠিক তা নয়, তবে খারাপ তো লেগেইছিল। ভারতীয় দলের হয়ে এত ভাল বল করে আসার পর যদি এ ভাবে পরপর চার-ছয় খেয়ে যাই, মনে হয় নিজের প্রতিই অন্যায় করছি। তাই পরের চার বলে নিজের ভুলগুলো শুধরে নিই আর ওই সময় রিভার্স সুইংও পাচ্ছিলাম। সেটাও কাজে লেগে গেল।’’ সুনীল নারাইনকে হঠাৎ ওপেন করতে নামানোর সিদ্ধান্ত কেন? দলের আর কাউকে সামনে না পেয়ে উমেশকেই প্রশ্নটা ছুড়ে দেওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সুনীল তো পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগেও ওপেন করেছে বলে জানি। ও খারাপ ব্যাট করে না। তা ছাড়া আমাদের ওই সময় এমন একজন ব্যাটসম্যানকে পাঠানোর দরকার ছিল, যে বিপক্ষকে চমকে দিতে পারে। সেই জন্যই সুনীলকেই শুরুতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বলেই জানি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy