আপাতত দু’দিনের ছুটি। কিন্তু টিমের বাণিজ্যিক ফটোসেশন চলছে। তারই শ্যুটিংয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরল মুহূর্তে শুভাশিস রায়চৌধুরী এবং লুই গার্সিয়া। যুবভারতীতে। সোমবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আট ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে অন্তত চারটি দল আই লিগ খেলতে চাইছে। এবং সবকিছু ঠিকঠাক চললে আই লিগে ক্লাবের সংখ্যা বাড়বে। তবে বর্তমান মরসুমে নয় ২০১৫-১৬ মরসুমে। ফেডারেশন সচিব কুশাল দাশ সোমবার দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “ফ্র্যাঞ্চাইজিরা অনেকেই আই লিগ খেলতে চাইছে। ওদের পরিকাঠামো ঠিক থাকলে সুযোগ দিতে পারি। দল বাড়লে বাড়বে।” এমনিতেই আইএসএলের আলোয় আই লিগের হাল আরও খারাপ হবে বলে মনে করছেন ক্লাব কর্তারা। সে ক্ষেত্রে আইএসএল এবং আই লিগ মিলে যাওয়ার একটা সম্ভবনা তৈরি হবে।
এরই মধ্যে আটলেটিকো দে কলকাতার কোচ আন্তোনিও হাবাস, স্ট্রাইকার ফিকরুর শাস্তি কমানোর আবেদনের চিঠি পাঠানো হয়েছে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে। গোয়ার কর্তারাও রবার্ট পিরেসের শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করেছেন। সবারই শাস্তি কমার সম্ভাবনা। তা ছাড়া উপায়ও নেই। কারণ যে প্রক্রিয়ায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কোনও আইনই মানা হয়নি। ক্রীড়া আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল অভিজ্ঞ আইনজীবী ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “শো কজ না করে, অভিযুক্তের কথা না শুনে যে ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা আইন বিরুদ্ধ। আদালতে গেলে টুর্নামেন্টটাই বন্ধ হয়ে যাবে। সেটা আমি সৌরভকেও (গঙ্গোপাধ্যায়) বলছিলাম।” হাবাস এবং ফিকরুর শাস্তির পর কলকাতার এক মালিকের অনুরোধে কী ভাবে আদালতে লড়তে হবে তার কাগজপত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন ঊষাবাবু। কলকাতার কর্তারা তা নিয়ে আদালতে যাননি। বরং আপোষের রাস্তায় গিয়ে শাস্তি কমাতে চাইছেন। আদালতে না গেলেও আইএসএল কর্তাদের তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন চিঠির বয়ান এবং অনুরোধ করেছেন শাস্তি কমানোর। আর এরপরই তীব্র চাপে পড়ে গিয়েছেন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তিন সদস্য। জানা গিয়েছে আজ মঙ্গলবার বা কাল বুধবার শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ বললেন, “ওদের তিন জনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। দু’একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন ওরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy