সুনীলরা ফেরায় আরও জমবে আইএসএল

টানটান উত্তেজনায় ঠাসা একটা সপ্তাহ চলছে আইএসএলে। দিল্লি ডায়নামোস তো সবাইকে চমকে দিয়েছে! পরপর তিন ম্যাচ জিতে এক নম্বরে উঠে এসেছে ওরা। কেরল ব্লাস্টার্স এবং চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে অসাধারণ জয় ছিনিয়ে নেওয়ার আগে আমাদেরও হারিয়েছে দিল্লি।

শেষ কিছু ম্যাচে দিল্লির মালুদাকে নিজের ছন্দে পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি ডায়নামোসের সাফল্যের পিছনে মালুদার কৃতিত্ব নিয়ে আলাদা করে বলার বোধহয় আর কিছুই বাকি নেই। যোগ্য নেতার মতোই টিমকে সাফল্যের চুড়োয় টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে মালুদা। তা ছাড়া মার্সেলিনো, কেন লুইস, গাডজেরা তো রয়েছেই মালুদাকে সাহায্য করার জন্য। ওদের পারফরম্যান্স বলে দিচ্ছে কেন এই মুহূর্তে দিল্লি সবচেয়ে বেশি গোল করেছে এ বারের টুর্নামেন্টে।

দিল্লির পর আমি যে টিমটার কথা বলব, সেটা হল এফসি পুণে সিটি। ওরা কিন্তু আমাদের মতো অবস্থায় ছিল। ব্যর্থতার বোঝা নিয়ে আইএসএল টেবলের শেষের দিকে। কিন্তু সেই পুণেই এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এমনকী প্রথম চারেও উঠে পড়েছে ওরা। শেষ দুটো ম্যাচেই জয় কোণঠাসা পরিস্থিতি থেকে ওদের সামনের সারিতে এনে ফেলল।

সামনের সপ্তাহে আইএসএলের লড়াই হয়তো আরও আকর্ষণীয় হবে। সুনীল ছেত্রীদের মতো বেঙ্গালুরু এফসির ফুটবলাররা এএফসি কাপ খেলে ফিরে এসেছে। আইএসএলের বিভিন্ন টিমে তাদের যোগদান হয়তো নতুন মাত্রা যোগ করবে টুর্নামেন্টে। ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে লিংডো (পুণে), সিকে বিনীত (কেরল) কিন্তু ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে।

এ বার আসি আমাদের টিমের কথায়। এখন আমাদের কাছে সব ম্যাচই ফাইনাল। এ বছর আমাদের খারাপ সময় যাচ্ছে ঠিকই, তবে আমি এখনও আশাবাদী। আমাদের টিমের উপর এখনও পুরো ভরসা রয়েছে আমার। যদি আমাদের শেষ চারে যাওয়ার সামান্য সুযোগও থাকে, সেটাই এখন কাজে লাগাতে হবে।

আমাদের টিমের দর্শন হল, অল আউট খেলে জয় ছিনিয়ে নেওয়া। টিম মিটিংয়ে সব সময় বলা হয়ে থাকে, আমরা যেন কোনও অবস্থায় ম্যাচ থেকে খালি হাতে না ফিরি। তিন পয়েন্ট ছাড়া আমাদের অবশ্য আর অন্য কিছু নিয়ে ভাবার অবস্থাও নেই এখন। তবে শেষে একটা কথাই বলব, আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। আমাদের সমর্থকদের নিরাশ করব না।