জেকব মার্টিন।
ভারতের হয়ে খেলেছেন ১০টি একদিনের ম্যাচ। ২০০৯এ দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে ধরা পড়েন ‘হিউম্যান ট্র্যাফিকিং’এর কেসে। সেই জেকব মার্টিনকে রঞ্জি ট্রফির জন্য কোচ বেছে নিল বরোদা। এই মুহূতে জামিনে মুক্ত জেকবের বিরুদ্ধে ২০০৩টি কেস রয়েছে। যদিও দলের অনেক সিনিয়র প্লেয়ারই এই বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছেন না। কয়েকজন সিনিয়র প্লেয়ার ও বরোদা ক্রিকেট বোর্ডের বেশ কয়েকজন কর্তা মনে করছেন এই সিদ্ধান্ত লোধা প্যানেলের বিপক্ষে যাবে। লোধা কমিটির পক্ষ থেকে বিসিসিআইকে বলা হয়েছিল ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে এমন কেউ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। কিন্তু ৪৪ বছরের মার্টিনের সঙ্গে রয়েছে বিরাট ইতিহাস। এখনও তিনি মুক্ত নন। আপাতত জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি।
১৯৯৯-২০০০ মরসুমে ভারতের জার্সিতে বিদেশ সফরও করেছিলেন মার্টিন। পার্থে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৩৯ রানও করেছিলেন। বরোদার এক সিনিয়ার কতা বলেন, ‘‘এটা অনৈতিক। ও হতে পারে খুব ভাল ক্রিকেটার ছিল। কিন্তু ও সঠিক মানুষ নয়। বোর্ড একটা খারাপ উদাহরণ রাখল মার্টিনকে কোচ করে। বরোদায় আরও অনেক সিনিয়ার প্লেয়ার রয়েছে যাঁদের সহজেই এই জায়গায় নিতে পারত।’’
২০১১তে মার্টিনকে বাবরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরই তাঁর রেলের চাকরি চলে যায়। যদিও নিজের দোষ এখনও স্বীকার করেননি মার্টিন। দিল্লি এয়ারপোর্টে যখন ধরা পড়েন মাটিন তখন, নিমেশ কুমার নামে এক উঠতি ক্রিকেটারকে নকল পাসপোর্ট দিয়ে ইংল্যান্ড পাঠাচ্ছিলেন তিনি। আজওয়া স্পোর্টস ক্লাব নামে নিজের দলও তৈরি করেছিলেন জেকব মাটিন। এ বার দেখার রোদার এই পদক্ষেপ আদৌ মেনে নেয় কী না লোধা প্যানেল বা বিসিসিআই।
আরও খবর
দলীপ চ্যাম্পিয়ন ইন্ডিয়া ব্লু
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy