জনি আকোস্তা।
তিনি রক্ষণে থাকলেই ইস্টবেঙ্গল দু’গোল খায়, ডার্বি নিয়ে মোহনবাগান সমর্থকদের এই ধারাবাহিক কটাক্ষ তো তিনি মানছেনই না। উল্টে রবিবারের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বিশ্বকাপার জনি আকোস্তা বলে দিলেন, ‘‘আমরা যেমন বেশি গোল খেয়েছি। তেমন মোহনবাগানের চেয়ে বেশি গোলও দিয়েছি। সেটা যেন সবাই মনে রাখে।’’
শুক্রবার দুপুরে কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের সঙ্গে মোহনবাগান তাঁবুতে এসেছিলেন জনি। কোচের মতোই সনিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলে দিলেন, ‘‘ওকে নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা তৈরি।’’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল হেনরি কিসেক্কা, দিপান্দা ডিকা, সনি নর্দেদের নিয়ে তৈরি মোহনবাগানের শক্তিশালী আক্রমণ রোখার ক্ষমতা কী ইস্টবেঙ্গলের আছে? জনি বলে দিলেন, ‘‘মোহনবাগানকে রোখার জন্য আমাদের রক্ষণ তৈরি। রবিবার সেটা দেখতে পাবেন।’’ জনি কোচের পাশে বসে তূরীয় মেজাজে কথা বললেও মোহনবাগান কোচ খালিদের পাশে বসে তাঁর দলের রাইট ব্যাক অরিজিৎ বাগুই ছিলেন জড়সড়। বলে দিলেন, ‘‘সনি আসায় আমাদের শক্তি বেড়েছে। প্রথম ডার্বিতে আমরা হারলেও খারাপ খেলিনি।’’
রবিবারের ডার্বি ম্যাচে অভিনব উদ্যোগ নিলেন মোহনবাগান কর্তারা। শহরের তিনটি অনাথ আশ্রমের একশো ছাত্রকে শীততাপনিয়ন্ত্রিত বাসে করে যুবভারতীতে খেলা দেখাতে নিয়ে আসা হবে। ভি ভি আই পি বক্সে বসে খেলা দেখবেন তারা। খাওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
প্রথম ডার্বিতে রেফারিং নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। এ বার যে চার জনের প্যানেল হয়েছে, তাতে তামিলনাড়ুর শ্রী কৃষ্ণর সঙ্গে রয়েছেন সার্ভিসেসের রোহওয়ান। দু’জনেই ফিফা এলিট প্যানেলের রেফারি। এঁদের একজনের মুখেই থাকবে ডার্বির বাঁশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy