ছবি পিটিআই।
চার নম্বরে কে?
আর কয়েক ঘণ্টা পরে বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দল নির্বাচন। সেখানে এই প্রশ্নটা অবশ্যই ঝড় তুলবে।
গত এক বছরে ভারতীয় দলে চার নম্বরে পোক্ত একজন ব্যাটসম্যানের খোঁজ চলছে। যেখানে পরখ করা হয়েছে অম্বাতি রায়ডুকে। ফলে প্রশ্ন, চার নম্বরে অম্বাতি রায়ডু না অন্য কেউ?
নিজে জাতীয় নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছি। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের কথা। তখন আমি জাতীয় নির্বাচক। সে বারও ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ হয়েছিল। মিডল অর্ডারে একটা নাম নিয়ে দল নির্বাচনী বৈঠকে খুব হইচই হয়েছিল। আমাদের বাছতে হত বিনোদ কাম্বলি, হেমাঙ্গ বাদানি ও অময় খুরাশিয়ার মধ্যে একজনকে। অময় ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল রান করায় শেষ পর্যন্ত আমরা ওকেই নিয়েছিলাম।
আমি নির্বাচক হলে রায়ডুকে দলে নিতাম না। ও প্রচুর সুযোগ পেয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেনি। আত্মবিশ্বাস বা ফিটনেস নেই। আজ নির্বাচনী বৈঠকে থাকলে চার নম্বরে আমি চাইতাম কে এল রাহুলকেই।
ছেলেটা ইনিংস গড়তে পারে। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পরিবেশে শুরুতে প্রথম সারির কয়েকজন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে রাহুল এই কাজটা করতে পারবে দায়িত্ব নিয়ে। প্রয়োজনে ডেথ ওভারে ঝোড়ো ইনিংস খেলে রাহুল স্কোরবোর্ডে রান বাড়ায় ক্রিকেটীয় শটে। দরকারে ওকে তৃতীয় ওপেনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। ম্যাচে হঠাৎ ধোনি আহত হলে উইকেটকিপারের কাজটাও করে দিতে পারবে। যে কাজটা রায়ডুকে দিয়ে হবে না। তার উপর রাহুলের বয়স কম। বিদেশে গিয়ে ভাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই মুহূর্তে ছন্দে রয়েছে। তাই চার নম্বরে আমার ঘোড়া কে এল রাহুল।
জুন মাস জুড়ে বিশ্বকাপ। চলবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এই সময়ে ইংল্যান্ডের পিচে বল খুব বেশি নড়াচড়া করবে না। সবুজ উইকেটও হবে না বলেই আমার ধারণা। পিচ ভারতীয় উপমহাদেশের মতোই আচরণ করবে। তাই ওপেনার হিসেবে শিখর ধওয়ন ও রোহিত শর্মা। দু’জনেই পরীক্ষিত। আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ওপেনার জুটি। বাঁ হাতি, ডান হাতি যুগলবন্দি রয়েছে এ ক্ষেত্রে। যাতে বিপক্ষ বোলিংয়ের সমস্যা হবে। তিন নম্বরে বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেটার বিরাট কোহালি। চার নম্বরে রাহুল। পাঁচ নম্বরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছয় নম্বরে কেদার যাদব। ওর ব্যাটের হাত বেশ ভাল। ছন্দে রয়েছে। স্পিন বোলিংটা করে। সঙ্গে দুরন্ত ফিল্ডার। সাত নম্বরে অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য।
এ বার চার বোলার। এখানে মহম্মদ শামি ও যশপ্রীত বুমরা থাকবেই। দুই স্পিনার ও দুই পেসার নিয়ে প্রথম একাদশ হলে শামি-বুমরার সঙ্গে কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চহাল। যে দুই রিস্ট স্পিনারকে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়বেই বিপক্ষ। এ বার তিন পেসার ও এক স্পিনার হলে চহালের বদলে আসতে পারে ভুবনেশ্বর কুমার।
বাকি রইল আরও তিন জনের নাম। দলে দেখা যেতে পারে দ্বিতীয় উইকেটকিপার ঋষভ পন্থকে। দিল্লির এই আক্রমণাত্মক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান খেলা ঘোরাতে দক্ষ। সঙ্গে রবীন্দ্র জাডেজা। ফিল্ডিং, বোলিং ও ‘পিঞ্চ’ হিটার হিসেবে ও একটা প্যাকেজ। আর চতুর্থ সিমার হিসেবে শেষ জায়গাটার জন্য লড়াই হবে বিজয় শঙ্কর ও উমেশ যাদবের মধ্যে। যেহেতু ব্যাটের হাতটা ভাল বিজয়ের। আমি নির্বাচক হলে ওকেই চাইতাম।
আমার বিশ্বকাপের দলটা এ রকম: শিখর ধওয়ন, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহালি, কে এল রাহুল, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, কেদার যাদব, হার্দিক পাণ্ড্য, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, উমেশ যাদব/বিজয় শঙ্কর, রবীন্দ্র জাডেজা, ঋষভ পন্থ, কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চহাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy