চিরকালীন: বিশ্বকাপ হাতে কপিল ও মোহিন্দর। ফাইল চিত্র
ভারতের তিরাশির বিশ্বকাপ জয় নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে চলেছে ‘৮৩’। যে সিনেমায় দেখা যাবে কপিল দেব এবং তাঁর দলের কাপজয়ের কাহিনি। তিরাশির অধিনায়ক কপিল দেব চান, সেই সিনেমায় যেন শুধু তাঁর কথাই বলা না হয়। তিনি চান, তাঁর বিশ্বকাপজয়ী দলের সতীর্থদেরও যেন সমান গুরুত্ব দেওয়া হয় ওই সিনেমায়।
রবিবার সংবাদ সংস্থাকে কপিল বলেছেন, ‘‘আমি যেমন দলের অধিনায়ক, আমি সে রকম টিমম্যানও। আমি চাইব, আমার দলের সবার পারফরম্যান্সই যেন তুলে ধরা হয় ওই সিনেমায়। আমি কখনও নিজের পারফরম্যান্সের উপরে আলাদা নজর দিইনি। দল কী করল, সেটাই ছিল আসল ব্যাপার।’’ কপিল আরও বলেন, ‘‘ক্রিকেটে সাফল্য আসে ওই ভাবেই। দল যখন ভাল খেলে। খেলাটা এক জনের নয়, সবার। সবাইকে মাঠে নেমে একশো শতাংশ দিতে হয়। আমরা ওই ভাবেই বিশ্বকাপ জিতেছিলাম।’’
‘৮৩’ সিনেমায় কপিলের ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর সিংহকে। যে সিনেমা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কপিল তুলে এনেছেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের কাহিনি। লর্ডসের ঐতিহাসিক ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৮৩ রানে শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ড্রেসিংরুমে কী আলোচনা হয়েছিল? কী বলেছিলেন সতীর্থদের? কপিলের জবাব, ‘‘আমরা ম্যাচটা উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। আর নিজেদের একশো শতাংশ দিতে চেয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমরা ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছি। তার মানে কিছু কাজ তো ঠিকঠাক করেছি। এই ধরনের কথা হয়েছিল ইনিংসের মাঝপথে। মাঠে নেমে আমরা কাউকে আমাদের চেয়ে ভাল দল হিসেবে দেখিনি। নিজেদের বলেছি, আমরাই সেরা।’’
কখন ম্যাচটা ঘুরে গিয়েছিল? কোন মুহূর্তটাকে ‘গেমচেঞ্জার’ বলবেন? কপিলের জবাব, ‘‘আমার কাছে একটা নয়, সে রকম মুহূর্ত অনেক আছে। যেমন প্রথমেই বলবিন্দর সিংহ সান্ধুর উইকেট। তার পরে ভিভ রিচার্ডসের ওই ক্যাচ। আমার তো মনে হয়, প্রতি মুহূর্তে আমরা ম্যাচের রং বদলে দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy