বৈদিক ভিলেজে বাউল গানে মজেছেন ব্র্যাড হগ। মঙ্গলবার। -নিজস্ব চিত্র
ইডেনের জল নিয়েও অভিযোগ। আর এও গড়াল আদালত পর্যন্ত। তবে এ মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জল নয়। ইডেনের গ্যালারিতে যে পানীয় জলের পাউচ বিক্রি করা হয়, তা নিয়ে। যা পরিশুদ্ধ কি না, তা প্রমাণিত নয় বলেই অভিযোগ উঠল। সিএবি ও কেকেআর তা মেনে নিতে বাধ্যও হল। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে শনিবার আইপিএলের পরবর্তী ম্যাচে গ্যালারিতে কারা জলের পাউচ সরবরাহ করবে, বা আদোও জল পাওয়া যাবে কি না, তারই কোনও নিশ্চয়তা নেই।
আইপিএলে গ্যালারির দর্শকদের যে জলের পাউচ দেওয়া হচ্ছে, তাতে আইএসআই-এর স্বীকৃতির ছাপ নেই। প্যাকেজড পানীয় জলে যা অবধারিত। এই অভিযোগ জানিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, তা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সিএবি-তে একটি হাইপ্রোফাইল বৈঠক বসে যায়। দীর্ঘ এই বৈঠকে সিএবি, কেকেআর, আইপিএলের অন্যতম স্পনসর পেপসি, আইপিএলের ম্যানেজমেন্ট সংস্থা আইএমজি এবং অভিযোগকারী ব্যারাকপুরের অনিকেত গিরির আইনিজীবীরাও ছিলেন। ছিলেন সিএবি-র আইনি উপদেষ্টা ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ঊষানাথবাবু বৈঠকে অভিযোগটি স্বীকার করে জানিয়ে দেন, আইএসআই ছাপহীন জলের পাউচ বিক্রি করা আইনসিদ্ধ নয়। ফলে সিদ্ধান্ত হয়, বর্তমানে ইডেনে যাদের জলের পাউচ সরবরাহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের বদলে অন্য সংস্থাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে। যাদের দেওয়া জলের পাউচে আইএসআই ছাপ রয়েছে। কিন্তু মাত্র তিন দিনের মধ্যে কোন সংস্থাকে এত বড় বরাত দেওয়া হবে, তা ঠিক করতেই আপাতত রাতের ঘুম চলে যাওয়ার উপক্রম কেকেআর ও পেপসি-র। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর বুধবার বিকেলের মধ্যে সমস্যাটির সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে আদোও সমাধান হবে কি না, সেটাই প্রশ্ন। ‘‘কেকেআর না পারলে সিএবি-কেই এর সমাধান করতে হবে’’, বলেন বৈঠকে যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে উপস্থিত থাকা কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে।
অভিযোগকারী অনিকেত গিরি জানালেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচের পর থেকে সিএবি-কে একাধিক চিঠি, ই-মেল করেছি। তারা আমাকে পাত্তাও দেয়নি। আমাকে ইডেনে ঢুকতেও দেওয়া হয়নি কোনও কর্তার সঙ্গে দেখা করার জন্য। এ বার আদালতের নির্দেশে নিশ্চয়ই কিছু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy