মঙ্গলবার বিশ্রামে ছিলেন প্রত্যেকে। বিচ ভলিবলের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানোর চেষ্টা করেন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। দলের প্রত্যেকে ভলিবল খেললেও রাসেল খেলেননি। যা প্রশ্ন তুলে দিতেই পারে, আদৌ কি পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার?
এলিমিনেটরে নিজে খেলতে না পারলেও সতীর্থ সুনীল নারাইনের সাফল্যে মুগ্ধ বিধ্বংসী রাসেল। চার উইকেট-সহ ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে ম্যাচের সেরা নারাইন। ড্রেসিংরুমে ফেরার পরে নারাইনকে সঙ্গে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন রাসেল। বলেন, ‘‘আজ নারাইনের দিন। একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও একই রকম মেজাজে দেখতে চাই তোমাকে।’’
নাইটদের সব চেয়ে বড় সুবিধে, শারজাতেই পড়েছে ঋষভ পন্থদের বিরুদ্ধে দ্বৈরথ। শেষ বারের সাক্ষাতে শারজায় ১২৭ রানে দিল্লিকে আটকে দিয়েছিল কেকেআর। আরসিবি ম্যাচের মতোই দিল্লির ব্যাটারদেরও সেই সাক্ষাতে একটিও ছয় মারতে দেয়নি নাইটরা। ১৮.২ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ম্যাচ শেষ করে দিয়েছিল অইন মর্গ্যানের দল।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের আগে এই ফলই হয়তো উদ্বেগ বাড়াবে দিল্লি শিবিরে। শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হারের ক্ষত এখনও দগদগে। তার মধ্যেই নাইটদের ইস্পাত-কঠিন মানসিকতার সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে তাঁদের।
শেষ ম্যাচের মতোই স্পিনারদের উপরেই কেকেআর ভরসা রাখছে। আরসিবির বিরুদ্ধে তিন স্পিনার মোট ১২ ওভার বল করেছিলেন। মাত্র ৬৫ রান দিয়েছিলেন তাঁরা। দিল্লির বিরুদ্ধেও একই রকম ছক কষছেন মর্গ্যান। তিনি বলেছেন, ‘‘স্পিনাররাই আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ওরা জানে, কখন আক্রমণ করতে হবে আর কখন রান আটকানোর চেষ্টা করতে হবে।’’ আরও বলেন, ‘‘ব্যাটাররাও ওদের সাহায্য করছে বড় রান করে। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে মানসিকতায়। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এই ঘরানার ক্রিকেটটাই দেখতে চাইত।’’ কেকআর সূত্রে খবর, তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হলে সুনীল নারাইনকে ‘শ্রেষ্ঠ নাইট’ হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে। ২০১২ সালে এসে নাইট সংসারে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন ক্যারিবিয়ান বিস্ময় স্পিনার। মাঝে কয়েকটি বছর তাঁর বল করার অ্যাকশন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠলেও তিনিই কেকেআরকে ফের ট্রফি তোলার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
দুর্গাপূজার অষ্টমীর রাতে কলকাতাবাসী যখন সন্ধিপুজোয় দেবীর আরাধনায় ব্যস্ত থাকবেন, মরুশহরে নাইটরা তখন লড়বেন তৃতীয় বার ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে। মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘শেষ চেষ্টায় কোনও খামতি থাকবে না। ফাইনালে ওঠার জন্য প্রত্যেকে মরিয়া।’’