বিনোদ রাই জানিয়ে দেন, এমন কাউকে কোচ বাছা হবে যাতে ড্রেসিংরুমের শান্তি রক্ষা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
অবশেষে মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত ভারতীয় বোর্ডের পর্যবেক্ষকদের প্রধান বিনোদ রাই। বলে দিলেন, অনিল কুম্বলে কোচ হিসেবে দারুণ কাজ করেছেন। কিন্তু দিনের শেষে মাঠের মধ্যে দায়িত্ব সামলাতে হয় অধিনায়ককেই।
এই মুহূর্তে ভারতীয় বোর্ডের প্রধান প্রশাসক আরও বলেছেন যে, পরবর্তী কোচ কে হবেন, সে ব্যাপারে কোহালির কোনও মতামত থাকবে না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ বাছাইয়ের জন্য গঠন করা কমিটি। ‘‘ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটিতে আমাদের সেরা তিন ক্রিকেটার রয়েছেন। সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভি ভি এস লক্ষ্মণ। তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে কেউ কখনও প্রশ্ন তোলেনি,’’ বলেন রাই।
মুম্বইয়ে রবিবার এবং সোমবার বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। তার আগের দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুম্বলে নিয়ে রাই আরও বললেন, ‘‘বিরাট কোনও ঝামেলা কিছুই হয়নি। দু’টো মানুষকে চব্বিশ ঘণ্টা এক জায়গায় রেখে দিলে তাদের মধ্যে পেশাদারি মতান্তর হতেই পারে। তার বেশি কিছু নয়।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘কুম্বলের চুক্তি ছিল এক বছরের। ওর নিশ্চয়ই মনে হয়েছে, যথেষ্ট হল। এর পর আর আমি থাকব না।’’ তার পর মিডিয়ার প্রতি রাইয়ের বার্তা, ‘‘ভারতীয় মিডিয়া বেডরুমে উঁকি দেয় না। তাই ড্রেসিংরুমের দিকেও তাকানোর দরকার নেই।’’
তবে বিনোদ রাই জানিয়ে দেন, এমন কাউকে কোচ বাছা হবে যাতে ড্রেসিংরুমের শান্তি রক্ষা হয়। প্রশ্ন ওঠে, কোহালির মতামত যদি প্রাধান্যই না পাবে তা হলে নতুন করে আবেদন চাওয়া হচ্ছে কেন? রাইয়ের জবাব, ‘‘আমাদের টিম বিশ্বের সেরা। দু’একটা ম্যাচ হারতে পারে ওরা কিন্তু আমাদের দল সেরা। সেই দলের কোচ বাছার জন্য আরও আবেদনপত্র চাইলে ক্ষতি কী? মনে হতেই পারে যে, সেরা লোকটাকে কোচ বাছা হবে। বিশ্বের সেরা লোকটাকে খুঁজে নিতে গিয়ে যদি আরও আবেদনপত্র চাওয়া হয়, যদি আরও সাত দিন সময় বাড়ানো হয়, ক্ষতি কী?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy