সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে জগমোহন ডালমিয়া— কাউকেই বাকি রাখল না সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিচারপতি লোঢা কমিটি। ভারতীয় ক্রিকেটে স্বচ্ছতা আনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার শহরে কথা বললেন পূর্বাঞ্চল ক্রিকেট প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে। সবচেয়ে বেশি কথা হয় সৌরভ-ডালমিয়ার সঙ্গে। জেনে নেন বর্তমান বোর্ড প্রেসিডেন্টের নিজের অঞ্চলের হাল-হকিকত।
বুধবার ফের চলবে একপ্রস্থ প্রশ্নোত্তর পর্ব। যেখানে কথা বলার জন্য ডেকে পাঠানো হয়ছে বিহারের আদিত্য বর্মা ও বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও নির্বাচক রাজা বেঙ্কটকে। আদিত্য বর্মা তো এ দিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে এসে বলেই দিলেন, ‘‘বোর্ড কর্তাদের অনেকের মুখোশ খুলে দিতেই কাল লোঢা কমিটির সামনে মুখ খুলব।’’ মঙ্গলবার তাঁর হাজিরার কথা থাকলেও কমিটি সদস্যরা তাঁকে বুধবার ফের আসতে বলেছেন। বুধবার সঙ্গে নাকি পাঁচ পাতার একটি চিঠিও কমিটির তিন সদস্যকে দেবেন তিনি। যেখানে আদিত্য দাবি করেছেন, কী ভাবে দিনের পর দিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননা হচ্ছে বোর্ডে। রাজা বেঙ্কট আবার বলছেন, ‘‘আমাকে হঠাৎ কেন ডাকা হল জানি না। তবে ওঁরা যা যা জানতে চাইবেন, বলে দেব।’’
বোর্ডে পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি রাজ্য সংস্থা ও অপর ভোটাধিকারি সদস্য ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিকে ডেকে লোঢা কমিটির সদস্যরা নাকি মূলত জানতে চান, বোর্ডের দেওয়া টাকা ক্রিকেটের জন্য কী ভাবে কাজে লাগাচ্ছেন তাঁরা। বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়েও প্রশ্ন করেন তাঁরা। জগমোহন ডালমিয়ার সিএবি-তে তিরিশ হাজার সদস্য এবং ইডেনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে সাধারণ মানুষের কাছে মাত্র ১৫ শতাংশ টিকিট বিক্রির জন্য যায়, শুনে নাকি অবাক হয়ে যান কমিটির তিন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর ভি রবিন্দ্রন ও অশোক ভান। আইপিএলের টিকিটই বা কী ভাবে বন্টন হয় কলকাতায়, সিএবি যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে সেই খোঁজও নেন তাঁরা। সিএবি-র গত তিন বছরের অডিট করা আর্থিক রিপোর্টও চেয়ে নেন তাঁরা।
সৌরভ ও ডালমিয়ার ডাক পড়ে যথাক্রমে মুকুল মুদগল কমিটির সদস্য ও বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে। আদালতে বিচারাধীন বিষয় বলে তাঁরা কেউই কিছু বলতে চাননি। বুধবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আরও পাঁচ রাজ্যের ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবে লোঢা কমিটি।