উইম্বলডনে প্রতি দিনই কোনও না কোনও বাছাই খেলোয়াড় ছিটকে যাচ্ছেন। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হল না। মহিলাদের বিভাগে ষষ্ঠ বাছাই আমেরিকার ম্যাডিসন কিজ় বিদায় নিলেন তৃতীয় রাউন্ডেই। জাপানের নেয়োমি ওসাকাকেও হারতে হল। তবে আমেরিকার আর এক খেলোয়াড় টেলর ফ্রিৎজ় উঠে গিয়েছেন প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে।
এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন কিজ়। তবে উইম্বলডনটা ভাল গেল না তাঁর। জার্মানির লরা সিগমুন্ডের কাছে ৩-৬, ৩-৬ গেমে হেরে গেলেন তিনি। গোটা ম্যাচেই কিজ়কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৩১টি আনফোর্সড এরর করেন তিনি। সেই তুলনায় ৩৭ বছরের সিগমুন্ড প্রত্যাশার চেয়ে ভাল পারফরম্যান্স করেছেন। মহিলাদের বিভাগে এখন তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়। ম্যাচের পর তিনি বলেন, “আমি এখন নিজের আনন্দের জন্য খেলি। কারও কাছে আর কিছু প্রমাণ করার নেই। কেন আমি টেনিস খেলছি সেটা রোজ নিজেকে বোঝানোর একটা তাগিদ থাকে। নিজের জন্য খেলি বলেই কোনও চাপ থাকে না।”
বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ইউএস ওপেন জয়ী ওসাকা এ বারও ঘাসের কোর্টে তৃতীয় রাউন্ড পেরোতে পারলেন না। আনাস্তাসিয়া পাভলুচেঙ্কোভার কাছে ৬-৩, ৪-৬, ৪-৬ গেমে হারলেন। ম্যাচের পর বললেন, “আজ খুব হতাশ লাগছে। নিজের সম্পর্কে একটাও ভাল কথা বলতে পারছি না।”
ম্যাচের শুরুটা খারাপ করেননি ওসাকা। তাঁর র্যাকেট থেকে এমন কিছু শট বেরোয় যা এক সময় তাঁকে বিশ্বের এক নম্বর করে তুলেছিল। তবে যত ম্যাচ গড়ায় ততই ওসাকা ছন্দ হারাতে থাকেন। উল্টো দিক থেকে পাভলুচেঙ্কোভাও চাপ বাড়াতে থাকেন এবং ম্যাচ জিতে যান। সন্তান জন্মের পর কোর্টে ফিরলেও ওসাকাকে আর আগের ছন্দে পাওয়া যাচ্ছে না।
ম্যাচের পর ওসাকা বলেছেন, “আমি খারাপ খেলেছি বলব না। তবে আরও অনেক ভাল খেলতে পারতাম। দু’-একটা জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমার মধ্যে এখনও খিদে বেঁচে আছে।”
আরও পড়ুন:
ফ্রিৎজ় আগের দু’টি ম্যাচে পাঁচ সেটে জিতেছিলেন। তৃতীয় রাউন্ডে আলেজান্দ্রো দাভিদোভিচ ফোকিনার বিরুদ্ধে এক সেট কম লড়তে হল তাঁকে। ফ্রিৎজ় জিতলেন ৬-৪, ৬-৩, ৬-৭, ৬-১ গেমে। প্রথম দু’টি সেটে অনায়াসে জিতলেও তৃতীয় সেটে নিজের ভুলের কারণে হারেন। তৃতীয় সেটে ব্রেক পয়েন্ট পেয়েছিলেন। তবে ফোকিনা বিপক্ষের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সেট টাইব্রেকারে নিয়ে যান এবং জিতে নেন। নিজের ভুল বুঝতে সময় নেননি ফ্রিৎজ়। চতুর্থ সেটে দাঁড়াতেই দেননি ফোকিনাকে।