ওয়াটফোর্ডের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই প্রতিআক্রমণে খেলার চেষ্টা করছিল ম্যান সিটি। তা বুঝেও রক্ষণে সে ভাবে মজবুত করেনি ওয়াটফোর্ড। দ্বিতীয়ার্ধে কেভিন দে ব্রুইন নেমেই দলকে তৃতীয় গোল উপহার দেন। ৬৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান জেসুস। ৮১ ও ৮৭ মিনিটে পর পর দু’টি গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন স্টার্লিং।
ম্যাচ শেষে ম্যান সিটি অধিনায়ক ভ্যানসঁ কোম্পানি বলেন, ‘‘অনেক দিন ফুটবল খেলছি। অনেক ক্লাবে খেলেছি। কিন্তু ম্যান সিটির মতো কোনও ক্লাব আছে বলে আমার মনে হয় না। গত দু’বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে চলেছে প্রত্যেকে।’’
কোম্পানি যদিও তাঁর ম্যানেজারকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেছেন ‘‘মরসুমের শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছি আমরা কেমন দল। আমাদের ম্যানেজার অসাধারণ। ওঁর জন্যই তরুণ ফুটবলারেরা প্রাণ খুলে খেলার সুযোগ পায়। স্টার্লিং ফর্মে ফিরেছে ম্যানেজারের জন্য।’’
পেপ গুয়ার্দিওলা ম্যাচ শেষে মাঠে ছুটে গিয়েছিলেন দলকে অভিনন্দন জানাতে। তিনি বলেন, ‘‘একটি অসাধারণ মরসুমের শেষ হল। ক্লাবের প্রত্যেক সদস্যকে ধন্যবাদ দিতে চাইব। বিশেষ করে ফুটবলারদের। আজ ওরা ভাল খেলেছে বলেই না দর্শকেরা গর্ব করতে পারছেন।’’ শুরুতেই বিপক্ষ স্ট্রাইকার রবার্ট পেরেরার একটি শট বাঁচিয়ে দেন ম্যান সিটি গোলকিপার এডারসন। পেপের মতে, ‘‘এ ধরনের ম্যাচে এ রকমই কিছু মুহূর্ত ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় যদি ০-১ পিছিয়ে যেতাম, ফিরে আসা সহজ হত না। এডারসনই নায়ক।’’
পেপ জানিয়েছেন, আগামী মরসুমে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবে ম্যান সিটি। ‘‘উন্নতি করার জায়গা আছে বলেই এখনও থাকছি। আশা করি, আগামী মরসুমে আরও ট্রফি আসবে,’’ বলে দেন পেপ।