Advertisement
E-Paper

যেখানে থেমেছিলেন সেখান থেকেই নতুন শুরু মার্সেলোর

রিও দে জেনেইরো থেকে ভারতের ফুটবল সরণীতে পা রাখার পরিকল্পনাও ছিল না। নামই শোনেননি এই দেশের সেই সময়। সেখানে ফুটবল খেলা। কিন্তু সময় কখন কাকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে তা কেউ বলতে পারে না। ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে ইউথ কেরিয়ার শুরু করে পেড়িয়ে এসেছেন অনেকটা রাস্তা।

সুচরিতা সেন চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৩৫
মিক্স জোনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মার্সেলো। —নিজস্ব চিত্র।

মিক্স জোনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মার্সেলো। —নিজস্ব চিত্র।

২০১৬তে যেখানে শেষ করেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করে দিলেন মার্সেলিনহো ওরফে মার্সেলো লেতে পেরেরা। মান রাখলেন ১০ নম্বর জার্সিরও। গত বছর দিল্লি ডায়নামোসের হয়ে মরসুম শেষ করেছিলেন ১০ গোল ঝুলিতে নিয়ে। সঙ্গে ছিল পাঁচটি নিশ্চিত গোলের পাস। সেই মার্সেলো এ বার পুণে সিটি এফসির মূল তারকা। দুই ম্যাচে নিজের নামের পাশে লেখা হয়ে গিয়েছে দু’গোল। দু’গোলই এসেছে এটিকের বিরুদ্ধে। একই ম্যাচে রেখেছেন দু’গোলের পিছনে নিজের সেই চেনা ভূমিকাও। এ বারও লক্ষ্যটা স্থির। যদিও গোল্ডের বুটের কথা ভেবে তিনি মাঠে নামেন না সেটা এ দিন পরিষ্কার করে দিলেন এই ব্রাজিলিয়ান।

আরও পড়ুন

পুণের কাছে গুনে গুনে ৪ গোল খেল এটিকে

দেবজিতের কোনও দোষ নেই: শেরিংহ্যাম

রিও দে জেনেইরো থেকে ভারতের ফুটবল সরণীতে পা রাখাটা সহজ ছিল না। ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে ইউথ কেরিয়ার শুরু করে পেড়িয়ে এসেছেন অনেকটা রাস্তা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বি টিম থেকে গেটাফে হয়ে দীর্ঘ ১০ বছরের পথ চলা। ভারতের মাটিতে পা রেখেই নিজের জাত চিনিয়েছেন। সেই মার্সেলো কলকাতাকে হারানোর মূল কারিগর রবিবার ম্যাচ শেষে বলে দিলেন, ‘‘আমি গোল্ডেন বুটের কথা ভেবে মাঠে নামি না। আমার প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে নিজেকে চোটমুক্ত রাখা। যাতে সব ম্যাচে দলের কাজে লাগতে পারি।’’

গোলের পর মার্সেলোর উচ্ছ্বাস। ছবি: আইএসএস ফেসবুক।

এটিকের বিরুদ্ধে তাদেরই ঘরের মাঠে যে ভাবে একাধিপত্ত দেখালেন তাতে এখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে আবারও গোল্ডেন বুটের মালিকানা পেতে চলেছেন তিনিই। এ দিন তাঁর সঙ্গে আলফারোর বোঝাপড়ায় শেষ হয়ে গেল এটিকে। মার্সেলোর প্রথম গোল যেমন এল আলফারোর পাসস থেকে ঠিক আলফারোর গোল এল মার্সেলোর পাস থেকে। একইভাবে গত বছর দিল্লি ডায়নামোসে মার্সেলো ও মালুদার দুরন্ত জুটি নজর কেড়েছিল। এখন একই ভাবে মার্সেলো পাশে পাচ্ছেন আলফারোকে। কিন্তু মালুদাকে ভুলতে পারেননি। বলছিলেন, ‘‘আমি এখনও খুব মালুদাকে মিস করি। ও দারুণ প্লেয়ার ছিল। তবে এটা একটা নতুন বছর নতুন টিম।’’

প্রথম ম্যাচ শেষ ওভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও জিততে না পারাটা রীতিমতো ভাবাচ্ছিল মার্সেলোকে। তাই জিততে মরিয়া ছিলেন। প্রতিপক্ষ, মাঠ কিছু নিয়েই ভাবেননি। জিতে তাই বেশ স্বস্তিতে তিনি। কথা বলতেও কোনও ক্লান্তি নেই। মিক্স জোনে যতবার দাঁড়াতে বলা হয়েছে দাঁড়িয়ে কথা বলে গিয়েছেন টানা। বলছিলেন, ‘‘আজকের ম্যাচ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই জয়ের ফলে পরের ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে নিতে পেরেছি আমরা।’’

জয়োল্লাস পুণে শিবিরে। ছবি: আইএসএল ফেসবুক।

আপনার সঙ্গে আলফারোর জুটিকে কত নম্বর দেবেন?

‘‘আলফারোর পাশে খেলাটা একটা বাড়তি পাওনা। ভাললাগা। আমরা সারাক্ষণ নিজেদের মধ্যে কথা বলি। সব কিছউ আদান-প্রদান করি। আমরা দু’জনেই জানি আমাদের লক্ষ্য কী। যেটা দলের কাজে লাগে।’’ এ বার একদিনের বিশ্রাম। ক্লান্তি কাটিয়ে আবার নেমে পড়া পরের ম্যাচের প্রস্তুতিতে। নিজেদের কাউন্টার অ্যাটাক, দ্রুত আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে নিতে চান মার্সেলো। জানেন দলের সাফল্যের রাস্তা এটাই। এই দলের বিশেষত্বও তাই।

Football Footballer ISL 4 Marcelo Leite Pereira Pune City FC মার্সলো
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy