কুড়ি মিনিট ধরে সিডনির দর্শকদের অপেক্ষায় রেখে অবশেষে নতুন বছরের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটা করলেন অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশানে। ১৯৯ রানে কুড়ি মিনিট ধরে আটকে ছিলেন তিনি। তার পরে কলিন ডে গ্র্যান্ডহোমের বল খোঁচা দিয়ে থার্ডম্যান বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে জীবনের প্রথম দ্বিশত রান পেলেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে লাবুশানের ২১৫ রানের সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়া করল ৪৫৪। জবাবে দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে নিউজ়িল্যান্ডের রান ৬৩-০।
গত বছর তিন বার ১৪০ রানের উপরে (১৮৫, ১৬২, ১৪৩) ইনিংস খেলেও ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি এই তরুণ ব্যাটসম্যান। এ দিন ডাবল সেঞ্চুরি করার পথে একটি রেকর্ডও করলেন তিনি। ঘরের মাঠে এই মরসুমে লাবুশানের রান ৮৩৭। গড় ১৯৯.৫৭। ভেঙে দিলেন নিল হার্ভির রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৯৫২-৫৩ সালে পাঁচ টেস্টে হার্ভির ছিল ৮৩৪ রান।
দিনের শেষে লাবুশানে বলছিলেন, গ্লামরগানের কোচ ম্যাথু মেনার্ড কিছু দিন আগেও কী বার্তা পাঠিয়েছিলেন তাঁকে। অ্যাশেজ সিরিজের আগে যে দলে খেলেছিলেন লাবুশানে। তিনি বলছেন, ‘‘দু’বার ডাবল সেঞ্চুরির কাছে এসেও করতে না পারার পরে মেনার্ড একটা টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েছিল। লিখেছিল, ‘জীবনে হয়তো পাঁচ বার সুযোগ পাবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার। আর তুমি এ রকম একটা সুযোগ ছুড়ে ফেলে দিলে। দারুণ ব্যাপার!’ আমার মনে হয়েছিল, বার্তাটা একটু কড়া হয়েছে। তবে মেনার্ডের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছিলাম।’’
এ দিন ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ফিল্ডিং করার সময় মাথায় চোট পান ম্যাথু ওয়েড। বোলার ছিলেন লাবুশানে। নিউজ়িল্যান্ডের ওপেনার টম ল্যাথাম জোরাল পুল করলে তা সোজা লাগে ওয়েডের হেলমেটে। ওয়েডকে অবশ্য মাঠ ছেড়ে যেতে হয়নি। দিনের শেষে তাঁর এক দফা ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আগামিকালও হবে। যা নিয়ে লাবুশানে বলেছেন, ‘‘আমিও ওখানে ফিল্ডিং করার সময় বেশ কয়েক বার চোট পেয়েছি। জানি অনুভূতিটা কী রকম। ভাগ্য ভাল, সব ঠিক আছে।’’