অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেই পরবর্তী লক্ষ্য স্থির করে ফেললেন। রবিবার কেরিয়ারের পনেরোতম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার পরে মেলবোর্ন থেকে আনন্দবাজারকে একান্ত সাক্ষাত্কার দিলেন ৪১ বছরের ‘যুবক’ লিয়েন্ডার পেজ।
প্রশ্ন: এক মার্টিনার (হিঙ্গিস) সঙ্গে খেলে জিতে গ্যালারিতে অন্য মার্টিনার (নাভ্রাতিলোভা) দিকে ‘ফ্লাইং কিস’ দেওয়ার মধ্যে কি কোনও স্পেশ্যাল তাত্পর্য আছে?
লিয়েন্ডার: মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা আমার প্রেরণা। উনি আজ গ্যালারিতে থাকায়, ফাইনালে বাড়তি অনুপ্রাণিত হয়ে খেলেছি। চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্টটা জেতার পরই দেখলাম, উনি চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে উঠে হাততালি দিচ্ছেন। আমার দিকে ফ্লাইং কিস দিলেন একটা। এত আমাকে স্নেহ করেন! আমিও সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা ফ্লাইং কিস দিয়ে ওনাকে সশ্রদ্ধ প্রত্যুত্তর দিলাম। এটা আমার প্রেরণার প্রতি আমার ভালবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা— যা ইচ্ছে সেটাই বলতে পারেন।
প্র: নতুন বছরের প্রথম চার-পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই একটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম, একটা এটিপি ডাবলস খেতাব, অন্যটায় ফাইনালিস্ট। একচল্লিশের লিয়েন্ডার পেজের বয়সকে উড়িয়ে দিয়ে এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের রহস্য কী?
লিয়েন্ডার: আমি আগে বহু বার বলেছি, আবার আজ বলছি, বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। আপনি যদি বুড়ো হয়ে গিয়েছি ভাবেন, তা হলে সেটা একচল্লিশে কেন, একত্রিশেও ভাবতে পারেন। আবার না ভাবলে, হয়তো একান্নতেও ভাববেন না।
উচ্ছ্বসিত। গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পরে লিয়েন্ডার-মার্টিনা। ছবি: গেটি ইমেজেস